প্রশান্ত কিশোর (Photo Credits: Twitter)

কলকাতা, ১০ এপ্রিল: “পশ্চিমবঙ্গে নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা রয়েছে। রাজ্যবাসী মোদির মধ্যে ঈশ্বরকে দেখতে পায়।” তৃণমূলের নিজস্ব সমীক্ষায় বিজেপির জেতার সম্ভাবনা প্রবল। ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের এই অডিও ক্লিপিংস ভাইরাল করে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য যখন গেরুয়া শিবিরেরে পালে হাওয়া টানতে ব্যস্ত, তখনই পুরোনো প্রসঙ্গ টেনে টুইট করলেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি লিখলেন, “আমি খুশি যে বিজেপি নিজেদের নেতৃত্বের বত্তব্যের থেকেও আমার কথাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তাঁদের যদি উৎসাহ থাকে তাহলে সামান্য কিছু অডিও ক্লিপিংস সামনে না এনে আমার পুরো বক্তব্যের অডিও প্রকাশ করুক। আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ১০০-র গণ্ডী টপকাবে না।” আরও পড়ুন-WB Assembly Elections 2021: নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ঈশ্বরকে দেখতে পায় বাংলার মানুষ, কী বললেন প্রশান্ত কিশোর?

এমনিতেই ভোট রাজনীতিতে নিজেদের দিকের পাল্লা ভারী করতে শাসক বিরোধী দল কেউই সামান্য তম ফাঁক রাখছে না। আর বিজেপি তো, আর নয় অন্যায়, সোনার বাংলা গড়ার ডাক দিয়ে একের পর এক স্ট্রোক দিচ্ছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের পাশে সবকিছুই যেন ফিকে হয়ে আসে। তাইতো চতুর্থ দফার আগে প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে ভোটের বাজার সরগরম করতে চাইলেন অমিত মালব্য। লাভ কিছু হল কি হল না পরের ব্যাপার, তবে প্রশান্ত কিশোর ফের বিজেপির আত্মবিশ্বাস তলানিতে ফেলে দিলেন। দু’মাস আগের বক্তব্যের রেশ টেনেই বললেন, বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি ১০০ আসনও পাচ্ছে না।

যে অডিও ক্লিপিংসটি প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে প্রশান্ত কিশোরকে বলতে শোনা যাচ্ছে, বিজেপির প্রতি বাংলার মানুষের একটা আকর্ষণ তৈরি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সেই জনপ্রিয় প্রবাদটির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন পিকে। সেটা হল, দিল্লিকা লাড্ডু। লাড্ডু যে খেয়েছে সে আফশোষ করেছে। তবে যে খায়নি, সে খাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়েছে। তো বাংলার মানুষ এখন দেখতে চায় বিজেপি এলে কি কি উন্নয়ন হবে। পদ্মশিবির রাতারাতি কী কী করে দেবে। তাছাড়া গেরুয়া শিবিরের পালে হাওয়া থাকার অন্যতম কারণ হল তৃণমূলের ঘাড়ে সারদা, নারদা, রোজভ্যালি, আমফান, কয়লা কেলেঙ্কারির বোঝা। মানুষের রাগ রয়েছে, বিরোধীরা সেসব মনে করিয়ে সেই রাগকে মাঝেমাঝেই উসকে দিচ্ছে। কেন্দ্রের কাঁধেও নোটবন্দি, জিএসটি, ব্যাংক বিক্রি, সরকারি সংস্থা বিক্রি, সিএএ, এনআরসি, কৃষি আইনের মতো মারাত্মক অভিযোগ থাকলেও সেগুলি সেভাবে বাংলার মানুষের উপরে প্রভাব ফেলতে পারছে না।