মোদি ও পিকে(Photo Credits: Social Media)

কলকাতা, ১০ এপ্রিল: ইতিমধ্যে রাজ্যে তৃতীয় দফার ভোট হয়ে গেছে। আজ শনিবার চলছে চতুর্থ দফার ভোট। সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির খবর মিলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছেন, শেষ তিনদফার ভোটে তৃণমূল জিতছে। তিনি নিজেও নন্দীগ্রামে জিতছেন। এদিকে বিজেপির দাবি মমতা হারছেন, সঙ্গে তৃণমূলও ডুবছে। মমতা যেন বিধানসভায় বিরোধী আসনে বসার জন্য প্রস্তুত থাকেন, একথা বলেছেন স্বয়ং বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “বেগম হারছে, বিকাশ জিতছে”। এহেন মন্তব্যের জন্য ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন তাঁকে শোকজ করেছে। তবে এসবের মাঝেও সব থেকে বড় খবর হল তৃণমূলের ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore) বিজেপির দিকেই ভোটের পাল্লা ভারী এমনটাই বলছেন।

এই সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপিংস ইতিমধ্যেই ফাঁস হয়েছে। সেখানে প্রশান্ত কিশোরকে বলতে শোনা যাচ্ছে, বিজেপির প্রতি বাংলার মানুষের একটা আকর্ষণ তৈরি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সেই জনপ্রিয় প্রবাদটির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন পিকে। সেটা হল, দিল্লিকা লাড্ডু। লাড্ডু যে খেয়েছে সে আফশোষ করেছে। তবে যে খায়নি, সে খাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়েছে। তো বাংলার মানুষ এখন দেখতে চায় বিজেপি এলে কি কি উন্নয়ন হবে। পদ্মশিবির রাতারাতি কী কী করে দেবে। তাছাড়া গেরুয়া শিবিরের পালে হাওয়া থাকার অন্যতম কারণ হল তৃণমূলের ঘাড়ে সারদা, নারদা, রোজভ্যালি, আমফান, কয়লা কেলেঙ্কারির বোঝা। মানুষের রাগ রয়েছে, বিরোধীরা সেসব মনে করিয়ে সেই রাগকে মাঝেমাঝেই উসকে দিচ্ছে। কেন্দ্রের কাঁধেও নোটবন্দি, জিএসটি, ব্যাংক বিক্রি, সরকারি সংস্থা বিক্রি, সিএএ, এনআরসি, কৃষি আইনের মতো মারাত্মক অভিযোগ থাকলেও সেগুলি সেভাবে বাংলার মানুষের উপরে প্রভাব ফেলতে পারছে না। আরও পড়ুন- West Bengal Weather Update: ভোট আবহেই বঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস, থাকছে কালবৈশাখীও

এর সঙ্গে জুড়েছে মোদির গ্রহণযোগ্যাতা। জনপ্রিয়তার নিরিখে মোদি মমতা প্রায় সমকক্ষ। নরেন্দ্র মোদিকেও বাংলার মানুষ দারুণ পছন্দ করে। প্রশান্ত কিশোরের ভাষায়, মোদির মধ্যে ঈশ্বরকে দেখেছে বাংলার মানুষ। এমন ভাবমূর্তি থাকলে বিজেপির বাংলা জয় একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এদিকে ভোটের আগেই পিকে বলেছিলেন, বিজেপি যদি পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে ১০০-র গণ্ডী পেরোয় তাহলে তিনি তাঁর কাজ ছেড়ে দেবেন। সেই এক সময় মোদিকে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আনা। যোগীকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বানানোর নেপথ্যে রয়েছে এই একটাই নাম প্রশান্ত কিশোর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর উপরে ভরসা করেছিলেন। এতদিন আশা জুগিয়ে এবার মোদি তথা বিজেপিকেই এগিয়ে রাখছেন পিকে।