শিলিগুড়ি, ২৫ এপ্রিল: উত্তরবঙ্গের (North Bengal) কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান বিনীত যোশী চিঠি দিয়ে সহযোগিতার জন্য মুখ্যসচিবকে (Chief Secretary) ধন্যবাদ জানানো পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউন আরও কড়া হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। শনিবার সকালে ফের উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গা পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। শিলিগুড়ির নিয়ন্ত্রিত বাজার পরিদর্শনের পর সোজা কালিম্পংয়ে চলে যান তাঁরা।
উত্তরবঙ্গে করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসা কেন্দ্রীয় দলের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের আসতে দেরি হওয়ায় পরিদর্শনে যেতে দেরি হচ্ছে তাঁদের৷ মুখ্যসচিবকে চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করতে হবে৷ উত্তরবঙ্গে পরিদর্শনের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের অভিযোগ, দার্জিলিঙের জেলাশাসক কোনও তথ্য দেননি৷ ডিভিশনাল কমিশনার কোনও তথ্য দেননি৷ দার্জিলিঙের সিএমওএইচও সহযোগিতা করছেন না৷ প্রয়োজনীয় তথ্যের ব্যবস্থা করতে মুখ্যসচিবকে অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছেন বিনীত যোশী৷ আরও পড়ুন, সংক্রমণ রুখতে আরও কড়া হতে হবে রাজ্যকে, মুখ্যসচিবকে চিঠি কেন্দ্রীয় দলের
Inter-Ministerial Central Team (IMCT) leader in West Bengal writes to State Chief Secretary, complains of non-cooperation by West Bengal Government and inadequate security provided. pic.twitter.com/CHK77J34Kr
— ANI (@ANI) April 25, 2020
কিছুদিন আগেই রাজ্যে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। একাধিক দলে ভাগ হয়ে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন তাঁরা। শনিবার উত্তরবঙ্গে তৃতীয় দফায় পরিদর্শনে বেরোন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তার আগে শিলিগুড়ির বাজারে যান তাঁরা। ঘুরে দেখেন গোটা বাজার। ওই বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। লকডাউনে কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখেন। এছাড়াও নিয়ন্ত্রিত বাজারের জঞ্জাল অপসারণের পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সেই সময় পরিতোষ সাহা নামে এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, ওই বাজারে জঞ্জাল অপসারণের কাজ ঠিকঠাক হয় না। শুধু তাই নয় করোনা পরিস্থিতির পরেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ব্যবসায়ীর করা প্রতিটি অভিযোগ নথিভুক্ত করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
এরপর তাঁরা কালিম্পংয়ের উদ্দেশে রওনা দেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত কালিম্পংয়ের বাসিন্দার বাড়ির সামনের এলাকা পরিদর্শন করেন তাঁরা। সেখান থেকে বেরিয়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলির পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখেন। দশমাইল ফাটকের করোনা হাসপাতালও ঘুরে দেখেন। দম্বরচকের কাছে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা।