ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো (Photo: Twitter)

কলকাতা, ২২ ফেব্রুয়ারি: ট্রেনে ওঠার অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে প্ল্যাটফর্মে (Platform) দাঁড়িয়ে রয়েছেন যাত্রীরা। ট্রেন এল কিন্তু নির্দিষ্ট স্টেশনে না থেমেই বেরিয়ে গেল পরবর্তী স্টেশনের উদ্দেশ্যে। এক কিলোমিটার পথ পেরিয়ে থামল পরের স্টেশনে। আর যে স্টেশনে যাত্রীরা দাঁড়িয়ে ছিলেন ট্রেনে উঠবেন বলে, পরের ট্রেনের জন্য তাঁদের অপেক্ষা করতে হল পাক্কা ২০ মিনিট। এক বার নয়, একই দিনে এমন ঘটল দু’বার। সন্ধ্যা ৭টা ৪৩ মিনিটের একটি ট্রেন সেন্ট্রাল পার্ক (Central Park) স্টেশনে না থেমে করুণাময়ীতে গিয়ে থামে। শুক্রবার এমনই ঘটেছে সদ্য চালু হওয়া ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয়।

সল্টলেক স্টেডিয়াম (Saltlake Stadium) থেকে সেক্টর ফাইভগামী মেট্রোয় পরপর দু’বার এমন ঘটনায় হতবাক যাত্রীরা তো বটেই, মেট্রোকর্তারাও। পুরো বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে তাঁরা। আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, সকালে সল্টলেক স্টেডিয়াম স্টেশন থেকে যাত্রা শুরুর আগে মেট্রোয় আর এক দফা বিভ্রাট হয় বলেও অভিযোগ। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়ানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেনটি আচমকা ছেড়ে দেয়। তখনও যাত্রীরা ওঠেননি ট্রেনে। বিষয়টি নজরে আসতেই তৎপর হয়ে ওঠেন মেট্রোকর্মীরা। ট্রেনটিকে ফের প্ল্যাটফর্মে ফিরিয়ে আনা হয়। তার পরে নির্দিষ্ট সময়ে সেটি রওনা হয় সেক্টর ফাইভের (Salt Lake Sector V) উদ্দেশে। এর ঠিক পরপরই ফের বিপত্তি। দ্বিতীয় স্টেশন বেঙ্গল কেমিক্যালে থামেইনি সেই ট্রেন। আরও পড়ুন: Polba Accident: টানা আটদিন লড়াই শেষে মৃত্যু পোলবা পুলকার দুর্ঘটনায় পড়ুয়া ঋষভের

প্রসঙ্গত, সাড়ে পাঁচ মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু বৌবাজারে (Bow Bazar) ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ের মূলে ঠিক কার গাফিলতি ছিল, এখনও তা নির্ধারণ করা যায়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুড়ঙ্গে আটকে থাকা টিবিএম বা টানেল বোরিং মেশিন উদ্ধার হলে তবেই সত্য প্রকাশ পেতে পারে। তবে দ্বিতীয় দফায় নতুন করে পূর্বমুখী সুড়ঙ্গে কাজ শুরু করার আগে প্রস্তুতিতে ফাঁক রাখতে চান না সুড়ঙ্গ-বিশেষজ্ঞ জন এন্ডিকট এবং তাঁর কমিটি। বিপর্যয়ের পরে পরিস্থিতি সামলাতে তাঁর উপরে ভরসা রেখেছিলেন ওই মেট্রোর নির্মাতা সংস্থা কেএমআরসিএল বা কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের আধিকারিকেরা।