ডায়মন্ড হারবার, ১ আগস্ট: গঙ্গায় বড়সড় ভাঙনের জেরে তলিয়ে গেল ডায়মন্ড হারবার রোড। সপ্তাহের কাজের দিনে সকাল সাড়ে নটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার সঙ্গে সড়কপথে কলকাতার যোগাযোগ একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন কাকদ্বীপ, নামখানা, ডায়মন্ড হারবার থেকে পণ্যবাহী ভারী লরি ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরেই কলকাতায় যাতায়াত করে, এদিনের ঘটনার পর সেই পন্য পরিবহন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যতদিন না জাতীয় সড়ক ঠিক হচ্ছে ততদিন পণ্য পরিবহন সম্ভব নয়। আরও পড়ুন-লক্ষ্য বিধানসভা ভোট, দিদির মুখ রক্ষায় ধান রুইলেন বিধায়ক
গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া ডায়মন্ড হারবার রোডের বাকি অংশ দিয়ে লোক চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। এই জেলার যোগাযোগের মেরুদণ্ড হল ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক। এমন ঘটনায় ভোগান্তির মুখে পড়েছে নিত্যযাত্রীরা। এদিকে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই এলাকায় এখন সাংসদের নেতৃত্বে সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে। হারবার জেটিঘাট লাগোয়া ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের বড় অংশ গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে।সেখানেই চলছিল কয়েক কোটি টাকার সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প। কাজ অনেকটা এগিয়েছিল। নির্মাণসামগ্রীও রাখাছিল সেখানে। জোয়ারের ভারে তার সবটুকই গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। এককথায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের বেশিরভাগ অংশই এখন গঙ্গাগর্ভে বিলীন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এতবড় ভাঙনের ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই প্রশাসনকে জানানো হয়েছে, তবে পুলিশ আসে অনেক দেরি করে।
#EiSamay #Kolkata, Severe Ganga erosion at Diamond Harbour in south 24 porgona damage NH-117.All connectivity of Kakdiwip,Kulpi,Namkhana ,Bokkhali totally Collapse. pic.twitter.com/IzcS5R9rxJ
— sugata banerjee (@bsugataES) August 1, 2019
প্রশাসন সূত্রের খবর, ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের সংশ্লিষ্ট অংশ কবে ঠিক হবে তা এখনই বলা মুশকিল। কলকাতা থেকে সড়কপথে দক্ষিণ ২৪ পরগনার যোগাযোগের জন্য বিকল্প রাস্তার কোঁজ শুরু হয়েছে। যতদিন না এই জাতীয় সড়ক ঠিক হবে ততদিন বিকল্প পথ ছাড়া গতি নেই। নাহলে জেলা কলকাতা পণ্য পরিবহন পুরো মুখ থুবড়ে পড়বে। এদিকে জোয়ারের ফলে ফের ভাঙনের পরিস্থিতি তৈরি হওয়াতে আশঙ্কার মেঘ জমেছে প্রশাসনিক কর্তাদের মুখে। যতটুকু রাস্তা এখনও টিকে আছে এই জোয়ার সেটুকুকে না গঙ্গাগর্ভে নিয়ে যায়। তবে খুব শিগগির শুরু হবে জাতীয় সড়ক মেরামতির কাজ প্রশাসনের তরফে এমন আশ্বাসই পাওয়া গিয়েছে।