মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo Credits: ANI)

কলকাতা, ৬ মে: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে পদ্মশিবিরের ভরাডুবি হয়েছে৷ নির্বাচনে জেতা দূরের কথা ১০০ ছুঁতে পারেনি বিজেপি৷ তাই ফল প্রকাশের পর থেকেই ভোট পরবর্তী হিংসায় জ্বলছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অংশ৷ এই ঘটনার দায় তৃণমূলের ঘাড়ে দিয়ে বিজেপির রাজ্য দপ্তরের সামনে ধরনায় বসেছেন দিলীপ ঘোষ ও জেপি নাড্ডা৷ আজ আবার ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল কলকাতায় এসেছে৷ দলটি সচিব পর্যায়ের নেতৃত্বের অধীনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যাবে৷ এদিন বিকেলে নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee), বললেন, “বিজেপি বাংলার রায় মেনে নিতে পারছে না৷” আরও পড়ুন-Kolkata: ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে রাজ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকার আর্থি সাহায্য দেওয়া হবে৷ কোচবিহারে হিংসা বেশি হচ্ছে। গুন্ডামি হচ্ছে। উদয়নের হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কোথায় কোথায় হিংসা হচ্ছে, আমরা খতিয়ে দেখছি। আসলে বিজেপি মানুষের রায় মেনে নিতে পারেনি। তাই ওরা গন্ডগোল করছে। বিজেপি-কে বলব, মানুষের রায় মেনে নিন। শপথের কয়েক ঘণ্টা পরেই বাংলায় এসেছে কেন্দ্রীয় দল। কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এখনও বাংলায়। যখন অক্সিজেন, ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না তখন তাঁরা আসছেন না কেন? দিল্লির দাঙ্গার পর কেন কেন্দ্রীয় দল আসে না? কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর যেন অকারণ প্ররোচনা না দেন।”

শপথ নিয়েই বলেছিলেন প্রথম প্রাধান্য দেবেন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে৷ এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে অক্সিজেন ঘাটতি মেটাতে মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি হবে৷ আগামী ১৫ দিন দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখুন। নিজেদের খেয়াল নিজেরা রাখুন। গাদাগাদি করে বাসে উঠবেন না। ভিড় এড়ানোর চেষ্টা করুন। পাটশিল্পে শ্রমিকেরা ১ শিফ্টে কাজ করবেন। এক সঙ্গে ৩০ শতাংশের বেশি কর্মী কাজ করবেন না৷ দরকারে কোয়াক ডাক্তারদের কাজে লাগানো হবে। ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং নার্সরাও চিকিৎসা করবেন। এর পাশাপাশি হাসপাতালগুলিতে ৪০ শতাংশ শয্যা বাড়ানো হবে। সব হাসপাতাল, নার্সিংহোমে করোনা চিকিৎসার বেড রাখতে হবে। ডাক্তারি পড়িুয়াদের করোনা চিকিৎসার কাজে লাগানো হবে।