
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে তেলাঙ্গানা পর্যন্ত যে অক্ষরেখা বিস্তৃত ছিল, তা এখন উত্তর বাংলাদেশ থেকে তেলাঙ্গানা পর্যন্ত আছে। আর সেটা গিয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে। আর বঙ্গোপসাগর থেকে বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরে বেশি মাত্রায় জলীয় বাস্প প্রবেশ করায় বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চারের ফলে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আজ সকাল থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির দেখা মিলেছে। গত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন (Bengal Weather Update) জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। পূর্বাভাসে বলা আছে বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের হিমালয় সন্নিহিত জেলাগুলিতেও। হতে পারে শিলাবৃষ্টিও। এমনকী ঝোড়ো হাওয়া বইবে। কোনওদিন ঝোড়ো হাওয়ার বেগ থাকবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। কোনওদিন আবার সেটা ৩০ কিমির মতো থাকতে পারে। তবে বসন্তের শুরুতে এই বৃ্ষ্টির জন্য রবি শস্য এবং আনাজের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
আজ বিকালের পর থেকে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হুগলি এবং হাওড়ার অনেক জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হতে পারে শিলাবৃষ্টিও।
এছাড়া হাওয়া অফিসের তরফে শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি বা দুটি অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। ওই তিনটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দাপট কিছুটা কমবে। ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং নদিয়ার একটি বা দুটি অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
কলকাতায় আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে যা প্রায় ৪ ডিগ্রি বেশি।