বন্ধন ব্যাঙ্ক (Picture Credits: Wikimedia Commons)

কলকাতা, ২৭ মে: বন্ধন ব্যাঙ্কের (Bandhan Bank) ঋণের কিস্তি মকুব করে দেওয়া হয়েছে বলে একটি খবর সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘোরাফেরা করছে। বন্ধন ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে সমস্ত গ্রাহক ও সাধারণ জনগণকে জানানো হয়, সোশ্যাল মিডিয়াতে ঋণ সম্পর্কিত যে খবরের পোস্ট ও ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে সেগুলি ভুয়ো যা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এই খবর গুলির কোনো সত্যতা নেই।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ মেনে, ইতিমধ্যেই বন্ধন ব্যাঙ্ক তার সমস্ত ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তির উপর মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত ‘মোরাটোরিয়াম’ ঘোষণা করেছে। তার পরেও গ্রাহকদের অনুরোধের ভিত্তিতে ঋণের কিস্তিতে মোরাটোরিয়াম-এর সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার কথা ভাবছে বন্ধন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। "মোরাটোরিয়াম" শব্দটি অর্থাৎ ঋণের কিস্তি আদায় পিছিয়ে দেওয়া এবং সম্পূর্ণভাবে ঋণ মকুব করার মধ্যে বিশেষ পার্থক্য আছে। এখনও পর্যন্ত সরকারি নির্দেশে যা বলা হয়েছে, তা হলো ঋণের কিস্তি আদায় পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে, যদিও সেটা ঋণ সংস্থা ও ঋণ গ্রহীতার সিদ্ধান্তের উপরে নির্ভরশীল। এর পরেও গ্রাহকদের অনুরোধের ভিত্তিতে ঋণের কিস্তিতে মোরাটোরিয়াম-এর সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। এছাড়াও, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বা অন্যান্য ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সমস্ত নির্দেশাবলী মেনেই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দেওয়া হবে। আরও পড়ুন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বেলেঘাটা থানার আধিকারিক ও তাঁর পরিবারের ৬ সদস্য

যদিও কিস্তি আদায় পিছিয়ে গেলেও ঋণের উপর সুদের হার বহাল থাকবে এবং কিস্তি বন্ধ থাকাকালীনও মোট ঋণের উপরে সুদ জমা হতে থাকবে। এর ফলে ঋণ গ্রহীতার উপর পরবর্তীকালে অতিরিক্ত কিস্তির বোঝা চাপতে পারে ও আরও বেশিদিন ধরে তাকে ঋণ পরিশোধ করতে হতে পারে। এই সংকটের সময়ে বন্ধন ব্যাঙ্ক সমস্ত রকম সহায়তা নিয়ে তার গ্রাহকদের পাশেই আছে। একটি দায়িত্বশীল ব্যাঙ্ক হিসেবে, ভবিষ্যতের সমস্যা এড়াতে, বন্ধন ব্যাঙ্ক তার গ্রাহকদের বিস্তারিত বুঝিয়ে দিচ্ছে যে তাদের বকেয়া ঋণের ওপর মোরাটোরিয়াম-এর প্রভাব কি হতে পারে।