অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo Credits: Youtube)

বস্টন, ১৫ অক্টোবর: নোবেল কমিটির তরফে খবরটি আসার পরে তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। নিজের সম্পর্কে কোনও আলোচনা শুরু হলেই কেমন যেন নিরুত্তাপ হয়ে যান। তবে ভাল বই আসছে বাজারে, কেউ কোনও উদ্ভাবনীর সঙ্গে যুক্ত জানতে পারলে সোৎসাহে টগবগিয়ে ফুটতে থাকেন। তিনি সদ্য নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhijit Vinayak Banerjee)। তাঁর কাজ নিয়ে আজ আলোচনা হচ্ছে সবাই তাঁকে নিয়ে ধন্য ধন্য করছে। তবে শুরুটা এতটাও মসৃণ গতিতে হয়নি। তিনি যখন অর্থনীতির মন্দাগতি (Economic Slowdown) থেকে মুক্তি পেতে নতুন পন্থা আবিষ্কারের নেশায় মগ্ন তখন কেউ কেউ বলেছিলেন সময় নষ্ট হচ্ছে।

তাঁর অর্থনীতির ফর্মুলা স্বীকৃতি পাচ্ছে। এই শুনে অভিজিৎবাবুর মন্তব্য, ‘‘এটা খুবই ভাল হল যে, যে পদ্ধতিতে আমরা কাজ করছি তা স্বীকৃতি পেল। প্রতিষ্ঠা পেল। যখন শুরু করেছিলাম, বারবার শুনতে হয়েছে, এটা কি অর্থনীতি? এটা করে কি কিছু শেখা যায়? কেউ বলেছেন, এত ঝামেলা করে লাভ কী? কেউ বলেছেন, এগুলো কি খেলা হচ্ছে?’ একটু থেমে বললেন, ‘এটা একটা ক্রাউনিং মোমেন্ট (জয়ের মুহূর্ত)। এখন আমাদের রান্ডমাইজ় কন্ট্রোল ট্রায়াল অর্থনীতির একেবারে কেন্দ্রে। একটা বোতাম টিপলে অর্থনীতির সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে, এমন চিন্তা এ বার বন্ধ করা দরকার। প্রত্যেকটা বিষয়কে আলাদা করে, তার সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে, এবং তার সমাধান নির্দিষ্ট করতে হবে।’’ আরও পড়ুন-Nobel Prize 2019: অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ‘নোবেল পাচ্ছি, খবর পেয়েই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম’

উল্লেখ্য, যাঁরা অর্থনীতি নিয়ে চর্চা করেন তাঁরা জানেন নোবেল পুরস্কারের সঙ্গে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও এস্টার ডাফলো-র নাম বার বার উঠেছে। এতদিনে সেই তাঁরাই একসঙ্গে নোবেল জয়ী হিসেবে সম্মানিত হচ্ছেন। চলতি বছরে তাঁরা যে নোবেল পেতে চলেছেন তানিয়ে অভিজিৎবাবুর কাছে কোনও খবর ছিল না। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একেবারেই অপ্রত্যাশিত এই খবর। আমি মনে করি, আমার চাইতে  কৃতী অর্থনীতিবিদ অনেকে আছেন। তাঁরা পুরস্কার পেলে আমি খুশি হতাম।’ বাবার কথা উঠলেই ফিরে যান পুরোনো সময়ে। আজ তাঁর নোবেল প্রাপ্তিতে সবথেকে বেশি খুশি যিনি হতেন তিনি বাবা দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় (Deepak Banerjee)। তিনিই তো অভিজিৎবাবুর প্রথম শিক্ষক ছিলেন।