কলকাতা, ১৫ অক্টোবর: “খুব সকাল সকাল খবরটা এসেছিল। আর আমি একেবারেই সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়ার মানুষ নই। বরং আমার রোজের সিস্টেমের সঙ্গে এটা একেবারেই যায় না। তাই খবরটা পাওয়ার পরেই ঘুমোতে চলে গিয়েছিলাম।” অর্থনীতিতে নোবেল পাচ্ছেন (Nobel Prize) বঙ্গ সন্তান অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhijit Banerjee)। এই খবর নোবেল কমিটির তরফে অভিজিৎবাবুর কানে আসার পরেই তিনি ফের ঘুমোতে গেলেও আর সুখনিদ্রা হয়নি সেদিন। নোবেল পাচ্ছেন বলে কথা শুভাকাঙ্ক্ষীদের কি আর ঠেকিয়ে রাখা যায়। একের পর ফোন আসতে শুরু করলে ঘুমের ব্যাঘাত অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে।
তবে নোবেল পাওয়ার খবর তাঁর খুশির পরিমাণটা নেহাত কম নয়। স্ত্রী এস্থার ডাফলো-ও (Esther Duflo) এবছর নোবেল পাচ্ছেন। নোবেলর ক্ষেত্রে যে এই দম্পতি রাজযোটক তা বলাই যেতে পারে। একসময়ের সহকর্মীর সঙ্গেই বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছিল অভিজিৎবাবুর। তারপর আসে প্রেম। সংসার পাতেন দু’জনে। সুখী দাপত্যের গণ্ডি পেরিয়ে এ বার বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পুরস্কারের মঞ্চেও তাঁরা একসঙ্গে। নোবেল পাচ্ছেন এ খবর পাওয়ার পর থেকেই অভিজিৎবাবু তাই বারবার বলছেন, “এই পুরস্কার পাওয়া নিঃসন্দেহে আনন্দের, সম্মানের। তবে আমি অনেক বেশি গর্বিত এবং খুশি যে আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে এই পুরস্কার নিতে পারছি।” আরও পড়ুন-‘অভিজিৎ সহজ ভাষায় কথা বলে, এটা ওর বড় গুণ’, কী বললেন নোবেলজয়ীর মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়?
উল্লেখ্য, সাদামাটা জীবন যাপনে অভ্যস্ত অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় নোবল পাওয়ার খবর খুশি হলেও ভোরের মিষ্টি ঘুমটা বিসর্জন দিতে রাজি হননি। তাই পরিচিত বন্ধবান্ধবদের শুভেচ্ছা অভিনন্দনের ফোন রিসিভ করার ফাঁকে ফাঁকে আরও ৪০ মিনিটের একটা ছোটখাটো নিদ্রা যাপন করেই নিয়েছিলেন। নোবেল কমিটির পক্ষ থেকেই ইউটিউবে শেয়ার করা হয়েছে সাড়ে চার মিনিটের একটি ভিডিও। সেখানেই এ কথা বলতে শোনা গিয়েছে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বাঙালি যে শুধু সংস্কৃতিবান ও গুণী হবে তাতো নয়। বাঙালি ঘুম প্রিয় অভিজিৎবাবুও সেই গুণ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেননি।