দিল্লিতে করোনাভাইরাস (Photo Credits: PTI)

হলদিয়া, ৪ এপ্রিল: করোনাভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হলেন কলকাতা পোর্ট ট্র্রাস্টের (Kolkata Port Trust) এক কর্মী। শনিবার পোর্ট ট্রাস্টের তরফে একটি বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম বিলাল খান (Bilal Khan)। তিনি হলদিয়া বন্দর (Haldia Port) এক ঠিকাদারের অধীন কাজ করেন। ওই ব্যক্তি নিজামুদ্দিনের তাবলিঘি জামাতে (Tablighi Jamaat) অংশ নিয়েছিলেন। সেখান থেকে ২৪ মার্চ ফেরত এসেছেন। এরপর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। নিজামুদ্দিনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। তবে এর মাঝেও বেশ কয়েকবার বন্দরে এসেছেন ওই ব্যক্তি। বন্দরের অন্যান্য কর্মীরা আতঙ্কিত। গোটা বন্দর জুড়ে ব্যাপক সচেতনতা নেওয়া হয়েছে। চলছে স্যানিটাইজ করার কাজ।

সংবাদ প্রতিদিনের খবর অনুযায়ী, বিলাল ৩১ মার্চ থেকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি ছিলেন। ২ মার্চ তাঁর সোয়াব পাঠানো হয় কলকাতায়। রাত ১০টা নাগাদ বেলেঘাটা আইডি থেকে খবর আসে তাঁর করোনা পজিটিভ। রাতেই তাঁকে বেলেঘাটায় স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর পরিবারের ৫ জনকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই শুক্রবার সকাল থেকে হলদিয়া শহর জুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়। সিআইএসএফ বন্দর ফাঁকা করছে। নিজামুদ্দিন ফেরত ওই ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় হলদিয়া বন্দরে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কারণ ওই ব্যক্তি বন্দরের ১৩ নম্বর জেনারেল কার্গো বার্থ বা জিসি বার্থে একটি বেসরকারি ক্রেন অপারেটিং সংস্থায় সুপার ভাইজারের কাজ করেন। আরও পড়ুন: Coronavirus Outbreak in India: করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩, ০০০; বাড়চ্ছে আতঙ্ক

বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার অমল দত্ত বলেন, ওই ব্যক্তি বন্দরে দিল্লি থেকে ফেরার পর বন্দরে এসেছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তা দেখা হচ্ছে। সবাইকে বলা হচ্ছে, যাঁরা সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের জানাতে বলা হয়েছে। সবাই আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় তার উপর নজর রাখা হচ্ছে।

অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের এক ব্যক্তি তাবলিঘি জামাতে অংশ নিতে দিল্লি গেছিলেন। তাঁকেও জেলা প্রশাসন হোমা কোয়ারান্টিনে রেখেছে। দিল্লির নিজামুদ্দিনের তাবলিঘি জামাতে রাজ্যের কারা যোগ দিয়েছিলেন এবং রাজ্যে ফিরে তাঁরা কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, সেই বিষয়ে খোঁজখবর চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। কারও নিজামুদ্দিন-যোগের সন্ধান মিললেই তাঁকে বাড়িতে বা সরকারি জায়গায় কোয়ারান্টিনে পাঠানো হচ্ছে।