সানফ্রান্সিসকো, ১০ সেপ্টেম্বর: করোনাকালে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোতেই ভয় পাচ্ছে. কেই বা আর অযাচিতভাবে প্রাণ দিতে চায় বলুন। সে যাইহোক, গত কয়েকমাসে সংক্রমণ এড়াতে লকডাউন এবং পরবর্তী সময়ে ই-কমার্সই লাভের মুখ দেখেছে বেশি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এখন লোকজন পারলে সবকিছুই অনলাইনে কিনে নেয়। সবজি থেকে শুরু করে মাছ ডিম মাংসের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, মশলাপাতি, ওষুধ. খাবারদাবার, জামাকাপড় সবই। তাই বাইরে বেরনোর সেই অর্থে প্রয়োজন নেই। এদিকে অ্যামাজনও সুযোগ বুঝে গুছিয়ে ব্যবসা করে নিয়েছে। মহামারীর সময়ে মানুষের সবথেকে বড় বন্ধু এখন জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন। মার্কিন মুলুক কিছুদিন আগেই ড্রোনের সাহায্যে ডেলিভারি শুরু করেছে এই সংস্থা।
ফেডারেল গভর্নমেন্টের অনুমতি নিয়েই ড্রোন পরিষেবা চালু করেছে অ্যামাজন। কেননা আমেরিকা সংক্রমণ নিদারুণভাবে ছড়িয়ে। ডেলিভারি ম্যানের জীবনও বিপন্ন হতে পারে। তাছাড়া ড্রোন যদি সঠিক সময়ে গ্রাহকের বাড়িতে প্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দিতে পারে তাহলে তো কোনও চিন্তা রইল না। মার্কিন মুলুকে নতুন উপায়ে অ্যামাজনের ব্যবসা বাড়ছে, এটা দেখে চুপ থাকতে পারেনি ওয়ালমার্টের (Walmart) মতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। অফিস ফেরতা মার্কিন নাগরিকরা মূলত ওয়ালমার্ট থেকেই বাজার করতে পছন্দ করেন। কিন্তু করোনাকালে গত কয়েকমাস যাবৎ সেসব মাথায় উঠেছে। এখন চারিদিকে শুধু সংক্রমণের হাতছানি। কেউ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের দিকে পা বাড়াচ্ছেন না। তাই ওয়ালমার্ট গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দের দিকেই নজর দিল। মার্কিন মুলুকে শুরু হল ড্রোন পরিষেবার অনুশীলন। ভাইরাসকে রুখতে গ্রাহক ঘরেই থাকুন। ওয়ালমার্টের ড্রোন গিয়ে আনাজপাতি, গার্হস্থ সামগ্রী গ্রাহকের বাড়িতে ডেলিভারি দিয়ে আসবে। মোটামুটি ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনকে টক্কর দিতেই এপথে হাঁটতে চলেছে ওয়ালমার্ট। আরও পড়ুন-Rajnath Singh On Rafale Induction: যারা ভারতের সার্বভৌমত্বকে নজরে রেখেছে তাদের জন্য কঠোর বার্তা রাফাল, নাম না করেই চিনকে কটাক্ষ রাজনাথ সিংয়ের
সংস্থার তরফে ইজরায়েলের ড্রোন সংস্থা ফ্লাইট্রেক্সের সঙ্গে পার্টনারশিপে ব্যবসা করতে নামছে ওয়ালমার্ট। বুধবার এই মর্মে নর্থ ক্যারোলিনার ফায়েটভিলে এই পরিষেবার উদ্বোধনও হয়ে গেল। ওয়াল মার্টের কাস্টমার প্রোডাক্ট বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট টম ওয়ার্ড বলেন, “আমাদের সর্বশেষ উদ্যোগ এই ড্রোন ইতিমধ্যেই একটা বিষয় পরখ করে নিয়েছে যে কত তাড়াতাড়ি ও নিরাপদে গ্রাহকের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ডেলিভারি করতে পারে। স্মার্ট ও ইজি কন্ট্রোল ড্যাশবোর্ড এই ড্রোনকে নিয়ন্ত্রণ করবে। ড্রোনের সাহায্যে খুব অল্পসময়ে প্রচুর প্যাকেজ ডেলিভারি সহজেই হয়ে যায়। এখনও গোটা বিষয়টিকে কল্পবিজ্ঞান মনে হলেও এই প্রযুক্তিই আমাদের প্রতিদিন একটু একটু করে শেখাচ্ছে যে কীভাবে গ্রাহকের জীবন আরও সহজ করে তোলা যায়।”