Elon Musk and X (Photo Credits: Instagram and Twitter)

Elon Musk India Tour: ইলনের ইন্ডিয়ায় আগমন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তথা দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক এবার ভারতে আসছেন। চলতি বছরের শেষে তিনি ভারতে আসছেন বলে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-এ লিখলেন মাস্ক। গতকালই, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনের মাধ্যমে কথা হয় মাস্কের। মাস্কের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি নিজেই এক্সে পোস্ট করে জানিয়েছিলেন মোদী। সেই পোস্টের জবাবেই বলেও টেসলা, স্পেসএক্স, 'DOGE'প্রধান জানিয়েছেন। জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি অধীর অপেক্ষায় আছেন। এবং চলতি বছরের শেষে তিনি ভারতে আসছেন।

মাস্কের সঙ্গে চলতি বছর মুখোমুখি কথা হয় মোদীর

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ওয়াশিংটন ডিসি-তে মাস্কের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী।

ভারত সফর নিয়ে মাস্কের এক্স বার্তা

গত বছর লোকসভা ভোটের আগে ভারতে আসার কথা ছিল মাস্কের

গত বছর ভারতে লোকসভা ভোটে আসার কথা ছিল মাস্কের। কিন্তু সেই সফর বাতিল করেছিলেন টেসলা প্রধান। বলাই বাহুল্য, ১৪৫ কোটি দেশের বাজারে চোখে মাস্কের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে কোণঠাসা ধনকুবের ব্যবসায়ী মাস্কের পাখির চোখ এখন ভারতের বাজারে।

দেশবাসীর বিক্ষোভের মুখে মাস্ক

মার্কিন প্রশাসনের খরচ কমানোর দায়িত্ব নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত ও ইউরোপের দেশগুলির রাজনীতিতে মাথা গলিয়ে বয়কটের মুখে পড়েছে মাস্কের টেসলা। বিক্ষোভের আঁচে জ্বলছে টেসলার গাড়ি। ইউরোপ, কানাডা, মেক্সিকোয় একেবারে মুখথুবড়ে পড়েছে মাস্কের ইলেকট্রিক গাড়ির বাজার। সেই সঙ্গে ফেক পোস্টে ছেয়ে যাওয়া মাস্কের এক্স প্ল্যাটফর্মের ইউজার তলানিতে ঠেকেছে। স্যাটেলাইট, ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবসাতেও ইউরোপে স্পেশএক্স, স্টারলিঙ্ক -এর প্রতিদ্বন্দ্বী বাড়ছে। এমন সময় ভারতের বাজার থেকে অক্সিজেন খুঁজছেন মাস্ক। উল্লেখ্য, জিও, এয়ারটেলের হাত ধরে ভারতে প্রবেশ করেছে মাস্কের ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা 'স্টার লিঙ্ক'। কিন্তু চালকহীন গাড়িতে আগ্রহ না দেখানো ভারতে ঢুকতে পারছে না মাস্কের সবচেয়ে বড় ব্যবসা টেসলার ইলেকট্রিক গাড়ি।

বকলমে মাস্কই মার্কিন প্রেসিডেন্ট!

মার্কিন মলুকে বিরোধীদের দাবি, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রেকর্ড অর্থ দিয়ে সাহায্য করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতানো ধনকুবের শিল্পপতি ইলন মাস্ক-ই আসলে পর্দার আড়ালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চালাচ্ছেন। আর মাস্কের জনপ্রিয়তা বেশ ধাক্কা খেয়েছে।