Cryptocurrency Representative Image (Photo Credits: Pixabay)

কথায় বলে কারও সর্বনাশ, কারও পৌষমাস। ঠিক সেটাই হল ওমিক্রন (Omicron)-কে নিয়ে। করোনার নয়া প্রজাতির নাম রাখা হয়েছে ওমিক্রন। এই ওমিক্রনের ভয়ে বিশ্ব কাঁপছে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে শুরু হওয়া ওমিক্রন ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন, কঠোর নিয়মবিধিতে ফিরেছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও ওমিক্রনের কারণে জারি হয়েছে নানা বিধিনিষেধ। কিন্তু এতো গেল সর্বনাশের আশঙ্কার কথা। আর ওমিক্রনের সর্বনাশের পৌষ মাসের ঘটনাটা ঘটেছে ক্রিপ্টোকারেন্সির দুনিয়ায়। ভাইরাসের নাম 'ওমিক্রন' রাখার আগে, এক ক্রিপ্টোকারেন্সের নাম ছিল 'ওমিক্রন'। আর WHO-র রাখা ভাইরাসের নাম ওমিক্রন হতেই ক্রিপ্টোকারেন্সি ওমিক্রনের চাহিদা রাতারাতি আকাশছোঁয়া হয়ে যায়। আশঙ্কার এই শব্দটাকে ক্রিপ্টো কারেন্সি হিসেবে পেয়ে ব্যাপক উতসাহ তৈরি হয়।

ফলে ওমিক্রন নামের ক্রিপ্টোকারেন্সি বাকিদের একেবারে পিছনে ফেলে দিয়েছে। পিছনে ফেলা ভুল, বলা ভাল একেবারে পর্যদুস্ত করে দিয়েছে। ওমিক্রন ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম ৯০০% বেড়ে, বিটকয়েন, এথারেয়ামের মত নামি ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ছাপিয়ে গিয়েছে। নভেম্বরের গোড়ায় লঞ্চ করেছিল ওমিক্রন নামের এই ক্রিপ্টোকারেন্সি। আরও পড়ুন:  কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বললেই 'দেশদ্রোহী' তকমা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে আবেগতাড়িত স্বরা

ওমিক্রন ক্রিপ্টোকারেন্সির চাহিদা, দাম ঠিক কতটা বেড়েছে তার একটা নমুনা হল, ২৭ নভেম্বর এর দাম ছিল $৬৫, দু দিন পর দাম বেড়ে হয় $৬৮৯। মানে প্রায় ৯৪৫ শতাংশ দাম বেড়েছে

ওমিক্রনের আগে স্কুইড নামের এক ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্যও ক মাসে আগে রাতারাতি বেড়ে গিয়েছিল। আসলে সেই সময় নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার থ্রিলার স্কুইড গেমস। নেটফ্লিক্সের এই সিরিজ গোটা বিশ্বে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর স্কুইড নামের ক্রিপ্টোকারেন্সি দারুণ জনপ্রিয় হয়।