ইলন মাস্কের ব্রেন-চিপ স্টার্টআপ নিউরালিংক তাঁর প্রথম চিপ স্থাপন করা রোগীর অনলাইন দাবা খেলার ভিডিও লাইভ-স্ট্রিম করেছে। ২৯ বছরের নোল্যান্ড আরবাঘ নামক ওই রোগী গাড়ি দুর্ঘটনার পরে কাঁধের নীচে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। যার ফলে হাতের কোন ব্যবহার তাঁর পক্ষে করা সম্ভব ছিল না। কিন্তু নিউরালিংকের সহায়তায় তিনি ল্যাপটপে অনলাইন দাবা খেলেছেন। ইলন মাস্ক ২০২৩ সালে জানিয়েছিলেন নিউরোলিংক চিপ প্রথমবারের মতো একজন মানুষের মস্তিষ্কে স্থাপন করা হয়েছে। যে মানুষের মস্তিষ্কে চিপটি স্থাপন করা হয়েছে তিনি আশানুরূপভাবেই সেরে উঠছেন। তিনি আরও জানান মানব মস্তিষ্কের নিউরনের সঙ্গে ভালোভাবেই কাজ করছে নিউরোলিংকের চিপ। এরপর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মাস্ক জানান নিউরালিংকের চিপ এর সাহায্যে মানুষ তার চিন্তাভাবনা ব্যবহার করে একটি কম্পিউটার মাউস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এবার সেই কাজই করে দেখালেন তারা।
ইমপ্লান্ট পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে মাস্কের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ স্ট্রিম করা ভিডিওতে আরবাঘ বলেছেন, "অস্ত্রোপচারটি অত্যন্ত সহজ ছিল।" “আমি আক্ষরিক অর্থেই একদিন পরে হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমার কোন প্রতিবন্ধকতা নেই।"দেখুন ভিডিও-
— Neuralink (@neuralink) March 20, 2024
নিউরোলিংক চিপ হলো এক ধরনের মস্তিষ্ক-কম্পিউটার ইন্টারফেস (Brain-Computer Interface) যা মস্তিষ্কের তরঙ্গ শনাক্ত করে এবং ডিকোড করে। এই চিপটি মস্তিষ্কের সঙ্গে তারযুক্ত ইলেকট্রোড ব্যবহার করে এটিকে সম্পূর্ণ করে। ইলেকট্রোডগুলো মস্তিষ্কের কোষ থেকে সংকেত গ্রহণ করে এবং সেগুলোকে ব্লুটুথের মাধ্যমে একটি বাহ্যিক ডিভাইসে পাঠায়।
ইলন মাস্কের ভাষায় একটি অ্যাপ বা সফটওয়্যার থাকবে যা চিপ লাগানো ব্যক্তিটির মস্তিষ্কের নিউরন হতে যে সিগন্যাল পাওয়া যাবে সেগুলো ভাষান্তর করবে। এই ভাষান্তরিত হওয়া সিগন্যালগুলো লেখা হবে বা কাজ করবে। যা চিন্তার মাধ্যমে কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।তবে কম্পিউটারকে অবশ্যই অতি-বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন হতে হবে।
এই সব ক্ষেত্রে নিউরোলিংক চিপটি একটি রোবটিক সার্জারি দ্বারা মস্তিষ্কের কর্টেক্সে স্থাপন করা হয়। প্রথমে ওই চিপটি মস্তিষ্কের কোষ থেকে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল সংগ্রহ করে।তারপর সংগৃহীত ডেটা ব্লুটুথের মাধ্যমে একটি বাহ্যিক ডিভাইসে পাঠানো হয়। বাহ্যিক ডিভাইস ডেটা ডিকোড করে এবং এটিকে কাজে রূপান্তর করে।