টোকিও, ১ জুলাই: রবিবার টোকিও অলিম্পিকে দারুণ একটা দিন গেল ভারতের। পিভি সিন্ধুর হাত ধরে মহিলাদের ব্যাডমিন্টনে এল চলতি টোকিও অলিম্পিকে ভারতের তৃতীয় পদক। অবশ্য সরকারীভাবে ভারত এখনও টোকিও অলিম্পিকে দুটো পদক জিতেছে। প্রথমটি ভারত্তোলনে মীরাবাঈ চানুর রুপো আর দ্বিতীয়টি ব্যাডমিন্টনে পিভি সিন্ধুর ব্রোঞ্জ। মহিলাদের বক্সিংয়ে ওয়েল্টারওয়েট(৬৪-৬৯ কেজি) ইভেন্টে লভলিনা বড়গোহাঁই সেমিফাইনালে উঠে পদক নিশ্চিত করলেও, তিনি সোনা-রুপো না ব্রোঞ্জ কি পাবেন তা নিশ্চিত নয়, তাই সরকারী হিসেবে ভারত এখনও দুটি পদক জিতেছে।

তবে ভারতের নিশ্চিত হয়েছে তিনটি পদক। রবিবার পুরুষদের হকিতে সেমিফাইনালে ওঠায় পদকের একেবারে কাছে চলে গিয়েছে ভারতীয় পুরুষ হকি দল। তবে হকিতে একটিই ব্রোঞ্জ পদক নির্ধারিত আছে, তাই সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে জিতলে ফাইনালে ওঠা যাবে, আর হেরে গেলে খেলতে হবে তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচে। কুস্তির খেলা এখনও শুরু হয়নি। সেখানে ভারতীয় কুস্তিগীররা ভাল ফর্মে থেকেই নামছেন। গত তিনটি অলিম্পিকে কুস্তিতে পদক এসেছে। অ্যাথলেটিক্সে জ্যাভলিন থ্রোয়ে নীরজ চোপড়ার কাছে পদকের আশা রয়েছে। মহিলা হকিতে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেও, সেখানে অবশ্য পদক জয়টা মিরাকেল হবে। তবে আগামী কটা দিন ভারতের সেরা বাজি পুরষদের হকি, আর দেশের কুস্তিগীররাও। এর মাঝে মহিলাদের বক্সিংয়ে সেমিফাইনালে ওঠা লভিলনা বড়গোহাঁইয়ের পদক কী রঙের হয়ে সেটার দিকেই তাকিয়ে থাকবে দেশ।

পদক জয়ের বিষয়ে ভারতের সফলতম অলিম্পিক ছিল ২০১২ লন্ডন গেমস। সেই গেমসে সোনা না জিতলেও একটি রুপো ৩টি ব্রোঞ্জ সহ মোট ৪টি পদক জিতেছিল ভারত। ২০০৮ বেজিং অলিম্পিকে ভার জিতেছিল একটি সোনা, একটু রুপো। রিও অলিম্পিকে এসেছিল একটি রুপো, একটি ব্রোঞ্জ পদক। ২০০০ সিডনি ও ২০০৪ এথেন্স অলিম্পিকে ভারত যথাক্রমে একটি ব্রোঞ্জ (কর্ণম মালেশ্বরী) ও একটি রুপো (রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর) জিতেছিল। ১৯৯৬ আটলান্টা অলিম্পিকে এসেছিল একটা ব্রোঞ্জ (লিয়েন্ডার পেজ)। আর ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯২ গেমসে ভারত কোনও পদক জেতেনি। এখনও পর্যন্ত টোকিওতে ৩টি পদক এসেছে। লন্ডনকে ছাপাতে পারবেন কী টোকিও গেমসে অংশ নেওয়া ভারতীয় অ্যাথলিটরা!

অলিম্পিকে পদক তালিকায় ভারত এখন ৫৯ তম স্থানে। তবে লভলিনার পদকটা যোগ হলে অনেকটাই এগিয়ে আসবে ভারত।