East Bengal win in ISL Photo Credit: Twitter@ANI

দু-দলের কাছেই এই ম্যাচ ছিল নিয়মরক্ষার ম্যাচ। তবে ভিন্ন আঙ্গিকে। মুম্বই সিটি এফসির প্লে-অফ এবং লিগ শিল্ড জয়, দুটোই নিশ্চিত। প্লে-অফের প্রস্তুতিতেই নজর তাদের। রিজার্ভ বেঞ্চকে দেখে নেওয়ার সুযোগ। তেমনই ইস্টবেঙ্গলের কাছেও এই ম্যাচ ছিল মর্যাদা রক্ষার।  তবে এর আগে আইএসএলের ইতিহাসে মুম্বই এফসির বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল জেতেনি কখনও। এমনকী,  চলতি টুর্নামেন্টেও কনস্ট্যানটাইনের দলকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে মুম্বই। অবশেষে শাপমুক্তি ঘটল মশালবাহিনীর।

এদিন ম্যাচের শুরুতে অবশ্য় বোঝা যায়নি যে, মুম্বই হারতে চলেছে। বরং তাদের দাপটই ছিল বেশি। উল্টোদিকে রক্ষণ সামলাতে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা চেষ্টা করছিলেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। প্রথমার্ধে যা আক্রমণ হয়েছে সব মুম্বইয়ের দিক থেকে। একটা ভালো সেভও করেন লাল-হলুদের গোলরক্ষক কমলজিৎ। রওলিন বর্জেসের শট পোস্টে লেগে ফেরে।ম্যাচের একমাত্র গোলটি হয়  ৫২ মিনিটে। ইস্টবেঙ্গলের সার্থক গলুই ডান দিকে বল দিয়েছিলেন সতীর্থ ক্লেটন সিলভাকে। এরপর বল যখন বক্স পৌঁছয়, তখন পা ছোঁয়াতে পারেননি সুহের। কিন্তু অরক্ষিত নাওরেম সিংহ বল জালে জড়িয়ে দেন।

ইস্টবেঙ্গল এ দিন দলে একটি পরিবর্তন করলেও মুম্বই সিটি এফসি তাদের প্রথম এগারোয় চারটি পরিবর্তন করে দল নামায়। জর্ডন ও’ডোহার্টির জায়গায় এ দিন শুরু থেকে নামেন অ্যালেক্স লিমা। অন্যদিকে, মুম্বইয়ের আক্রমণে প্রধান ভরসা গ্রেগ স্টুয়ার্টকে এ দিন স্কোয়াডে দেখা যায়নি। দলের সর্বোচ্চ স্কোরার জর্জ দিয়াজ, তারকা ডিফেন্ডার মেহতাব সিং, মাঝমাঠের ভরসা আপুইয়া ও বিক্রম প্রতাপ সিংকেও বিশ্রাম দেওয়া হয়। ফরোয়ার্ড আয়ূষ ছিকারা-সহ তিন তরুণ ফুটবলারকে শুরু থেকে খেলার সুযোগ দেন তাঁদের কোচ ডেস বাকিংহাম। ফলে তাদের পারফরম্যান্সে সেই চেনা তীব্রতা দেখা যায়নি। এই সুযোগই কাজে লাগিয়ে নেয় লাল-হলুদ ব্রিগেড।