আগরতলা, ৭ অক্টোবর: অলিম্পিকে খেলা দেশের প্রথম মহিলা জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার (Dipa Karmakar) ৩১ বছর বয়সে অবসর ঘোষণা করলেন। ৪ ফুট ১১ ইঞ্চির ত্রিপুরার ছোট উচ্চতার মেয়েটাই ভারতীয় জিমন্যাস্টকে অলিম্পিক, বিশ্বকাপের মঞ্চে নাম লেখাতে শিখিয়েছিল। দেশের প্রথম জিমন্যাস্ট হিসেবে অলিম্পিকের ফাইনালে খেলা, তারপর সর্বকালের সেরা সিমোনে বাইলসকে চ্য়ালেঞ্জ ছুড়ে ২০১৬ রিও অলিম্পিকে চতুর্থ হয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন ত্রিপুরার মেয়ে দীপা। অলিম্পিকে খেলা দেশের প্রথম মহিলা জিমন্যাস্ট ৩১ বছরের দীপা রিও-র মহাসাফল্যের দু বছর জিমন্যাস্ট বিশ্বকাপের ভল্ট বিভাগে সোনা জিতেছিলেন।
২০১৬ রিও অলিম্পিকে মহিলাদের আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টের ভল্ট বিভাগে মাত্র ০.১৫ পয়েন্টের জন্য পদক হাতছাড়া হয়েছিল দীপার। সেই বিভাগে সোনা, রুপো ও ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন যথাক্রমে মহিলা আধুনিক জিমন্যাস্টের তিন মহারথি সিমোনা বাইলস (আমেরিকা), মারিয়া পাসেকা (রাশিয়া) ও গিউলিয়া স্টেনগ্রুবের (সুইস)।
অবসর ঘোষণা দীপা কর্মকারের
🚨Dipa Karmakar announced her retirement.
- She had finished the 4th at the Rio Olympics 2016 and missed medal by 0.15 Points
- One of the only five women in the world who have successfully landed the Produnova.
Congratulations on the Incredible Career!! 🇮🇳🫡 pic.twitter.com/AQBOU5Ng9J
— The Khel India (@TheKhelIndia) October 7, 2024
ভয়াবহ চোটের পর একবার তাঁর অবসর নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। এরপর ডোপ কাণ্ডে নাম জড়িয়ে নির্বাসনের বির্তকেও দীপাকে নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে জিমন্যাস্টে ফিরে এশিয়ান মঞ্চে সোনা জেতেন তিনি। যেমন মাথা উঁচু করে এসেছিলেন, খেলা ছাড়লেনও তেমন মাথা উঁচু করেই।
বিশ্বমঞ্চে ২০১৪ গ্লাসগো কমনওয়েলথে জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ। অলিম্পিকের মঞ্চে প্রোদুনোভা ভল্ট সফলতার সঙ্গে পারফম করা যে দুনিয়ার বিষ্ময় হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন। দুনিয়ার মাত্র পাঁচজন অতি বিপজ্জনক প্রোদুনোভা ভল্ট সফলতার সঙ্গে করতে পেরেছেন, দীপা হলেন সেই পঞ্চরত্নের অন্যতম। ভয়াবহ চোট, ডোপ বিতর্ককে পিছনে ফেলে চলতি বছর মে মাসে কাজাকাস্তানের তাসকান্তে এশিয়ান জিমন্যাস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভল্টে সোনা জিতেছিলেন। খারাপ ভাগ্যের কারণে প্যারিস অলিম্পিকে খেলতে পারেননি দীপা।
রিও অলিম্পিকে মহারসাফল্যের পর ২০১৬ সালে ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল দীপাকে। নিজের সাফল্যের পিছনে কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীর কথা বারবার বলেন দীপা।