Champions Trophy 2025: আগে নিরাপত্তা পরে অন্য কিছু। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা (Rajeev Shukla) শুক্রবার বলেছেন যে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে সিনিয়র পুরুষ দল পাকিস্তানে না পাঠানোর সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে তিনি বক্তব্য রাখেন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিতব্য ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টের সূচি চূড়ান্ত করতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সভার কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি বলেন এই কথা। দিল্লিতে রাজীব শুক্লা বলেন, 'আমাদের আলোচনা চলছে। পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমাদের কাছে সবচেয়ে আগে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা। হাইব্রিড মোডই একটি বিকল্প।' বিসিসিআই এই বিষয়ে আইসিসিকে চিঠি দিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে এবং নিশ্চিত করেছে যে ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফরে যাবে না। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ভারতের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে এবং এমনকি নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ কম করার প্রস্তাবও দিয়েছে। Champions Trophy 2025: দুটি পরিকল্পনা প্রস্তাব নিয়ে আজকে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিটিং, একটিতে পাকিস্তানে ফাইনাল
পিসিবি চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি অবশ্য জোর দিয়ে বলেছেন যে পাকিস্তান পুরো টুর্নামেন্টটি তাদের দেশে আয়োজন করতে চায়। তারা হাইব্রিড মডেলেও রাজি হবে না বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। বুধবার পিসিবি চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি এই অবস্থানের কথা আবার জানিয়ে বলেন, পিসিবি আইসিসির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। বিশেষ করে গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে পাকিস্তান সফরে আসার পর নাকভি বলেন, পাকিস্তান সফরে ভারতের অনীহা গ্রহণযোগ্য নয়। তবে চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইসলামাবাদে রাজনৈতিক বিক্ষোভের কারণে পাকিস্তান সফররত শ্রীলঙ্কা 'এ' দল সিরিজ সংক্ষিপ্ত করতে বাধ্য হওয়ার পর টুর্নামেন্ট আয়োজনে পাকিস্তানের সামর্থ্য নিয়ে উদ্বেগ আরও তীব্র হয়েছে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দলের এই বিক্ষোভ দেশের সুরক্ষা সম্পর্কে গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করে। কিছুক্ষেত্রে এটি স্পষ্ট যে পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোস্ট করার ইচ্ছায় এই ঘটনা বড় প্রভাব ফেলতে পারে। পাকিস্তান ক্রিকেটের ওপর চাপ বাড়ার প্রাথমিক ইঙ্গিতই একটা যে শ্রীলঙ্কা 'এ' ও পাকিস্তান শাহিনসের মধ্যকার নির্ধারিত ৫০ ওভারের দুটি ম্যাচ বাতিল বাধ্য হয়েছে তারা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাগ্য নির্ধারণে শুক্রবার ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছে আইসিসি। এর আগেও ভারত পাকিস্তান যেতে রাজি না হওয়ায় গত বছর এশিয়া কাপের মাত্র চারটি ম্যাচ পাকিস্তানে আয়োজন করা হয়, ফাইনালসহ বাকি নয়টি ম্যাচ আয়োজন করে শ্রীলঙ্কা। ২০১২-১৩ মরসুমের পর থেকে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট খেলেনি ভারত-পাকিস্তান। ২০০৮ সালের এশিয়া কাপের পর থেকে পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত।