আসন্ন বিগ ব্যাশ লিগ খেলতে পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফকে এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) দিতে অস্বীকার করেছে পিসিবি। জাতীয় দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজে অংশ নিতে অস্বীকার করার পরই এই ঘটনা ঘটেছে। এই প্রসঙ্গে পাকিস্তান দলের পরিচালক মহম্মদ হাফিজ (Mohammad Hafeez) সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, 'পাকিস্তানের সব ক্রিকেটারের অগ্রাধিকার অবশ্যই পাকিস্তান হতে হবে, টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নয়।' হারিসের দলের আগে লিগকে বেশী গুরুত্ব দেওয়ায় পাক নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজ আগেই তাঁর হতাশা প্রকাশ করেন। ESPNCricinfo-র খবর অনুযায়ী, এই কারণেই হারিসকে এনওসি দিতে অস্বীকার করা হয়। লিগ শুরুর চার দিন পর অন্তত ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁকে ছাড়পত্র দিতে দেরি করতে চলেছে পিসিবি। এদিকে, ১৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়া সফর। Pakistan Squad in Australia Test: বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পর প্রথমবার দল ঘোষণা পাকিস্তানের, শান মাসুদের দলে বড় চমক
রউফকে কেন এনওসি দেওয়া হয়নি, তা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তারিত কথা বলেন হাফিজ। তিনি বলেন, পাকিস্তান জাতীয় দলে কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত প্রত্যেক খেলোয়াড়ের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করা। তিনি আরও বলেন, একটি নির্দিষ্ট এনওসি তৈরির বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে। তিনি আরও বলেন, 'কেন্দ্রীয় বা ঘরোয়া চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করা। আমরা একটি নির্ধারিত এনওসি নীতিমালা প্রণয়নের কথা ভাবছি এবং নীতিমালা প্রণয়নের সঙ্গে সঙ্গে তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে। আশা করা হচ্ছে যে, কেন্দ্রীয় চুক্তিপ্রাপ্ত খেলোয়াড়রা পাকিস্তানের সময়সূচীর জন্য উপস্থিত থাকবেন।'
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের হয়ে লাল বলের ক্রিকেট খেলতে খেলোয়াড়দের মন দিতে হবে এবং অর্থ-সমৃদ্ধ লিগে খেলার চেয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলাকে খেলোয়াড়দের অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাঁর কথায়, 'পাকিস্তান ও লাল বলের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রতিনিধিত্ব করা আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের দীর্ঘ ফরম্যাটে ফিরিয়ে আনতে চাই, কারণ আমরা এখন পিছিয়ে আছি। কেন্দ্রীয় চুক্তি যেমন আছে, তেমনই থাকবে।'
প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য এনওসির গুরুত্ব এবং প্রত্যেক খেলোয়াড়ের কেরিয়ারে এর উদ্দেশ্য কী হবে, তা তুলে ধরে শেষ করেন তিনি। হাফিজ বলেন, লিগ ক্রিকেটের চেয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট যাতে অগ্রাধিকার পায়, তার জন্য এনওসি নীতি কার্যকর করা হবে। তার মানে এই নয় যে, লিগ ক্রিকেটের অনুমতি দেওয়া হবে না। হারিস রউফের কথা বলতে গেলে, তিনি তার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেন, পরে তার মন পরিবর্তন করেন। মেডিক্যাল প্যানেল ও ফিজিওথেরাপিস্ট তাঁকে ছাড়পত্র দেন। তিনি নিজেকে লাল বলের ক্রিকেটের জন্য অনুপলব্ধ করেছেন, যদিও তার কেন্দ্রীয় চুক্তি সব ধরনের ক্রিকেটে তার প্রাপ্যতা দাবি করে। সব ধরনের ফরম্যাটের প্রাপ্যতার কথা মাথায় রেখেই চুক্তি দেওয়া হবে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে ক্রিকেটাররা যা চায় না, তা খেলতে বাধ্য হবে।'