বিসিসিআই সচিব তথা জয় শাহ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, এশিয়া কাপ আয়োজনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আইপিএল ফাইনালের শেষে। তিনি জানান, জানিয়েছেন, সেই বৈঠকে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত থাকবেন। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জয় শাহ বলেন,'এশিয়া কাপ আয়োজনের ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত কিন্তু শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি), বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ কর্তারা আইপিএল ফাইনাল দেখতে আসছেন। আমরা আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।' চলতি বছর এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি ছাড়া প্রতিবেশী দেশ সফরে যাচ্ছে না ভারতীয় ক্রিকেট দল। এরপর পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি একটি 'হাইব্রিড মডেল' প্রস্তাব করেছিলেন যেখানে চারটি ম্যাচ তাদের দেশে আয়োজন করার কথা রয়েছে। ICC CWC 2023 Qualifiers Team Announced: আইসিসি একদিবসীয় ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দল ঘোষণা আয়ারল্যান্ড, ওমান এবং নেদারল্যান্ডের
এরপর এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সূত্র থেকে জানা যায়, শেঠির প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপাল ও আফগানিস্তান পাকিস্তানের মাটিতে চারটি প্রাথমিক ম্যাচ খেলবে এবং ভারত নিরপেক্ষ ভেন্যুতে তাদের সবগুলো ম্যাচ খেলবে। এসিসির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য না দিলেও এটি একটি সম্ভাব্য সমাধান বলে মনে করা হচ্ছে। ভারত-পাকিস্তানের দুটি ম্যাচ সম্ভবত শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে, পাকিস্তান ক্রিকেট চায় এই ম্যাচ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হোক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসিসির একটি সূত্র পিটিআইকে জানিয়েছেন, এসিসি প্রধান জয় শাহ নির্বাহী সংস্থার সভা ডাকবেন, যেখানে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে। ভারতের বিপক্ষে নিরপেক্ষ স্থানে খেলতে আপত্তি নেই পাকিস্তান ক্রিকেটের। যদিও তারা দুবাইকে পছন্দ করবে কারণ এটি আরও গেট রসিদ পাবে। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ভারত-পাক ক্রিকেট ম্যাচ থেকে ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড ০.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পায়। তবে অন্য কোনো দেশে (পড়ুন শ্রীলঙ্কা) খেলার একটি সুযোগ রয়েছে।
পিসিবির মতে, ভারতে বিশ্বকাপ খেলা সরকারি ছাড়পত্রের বিষয় এবং এশিয়া কাপ আয়োজনের অধিকার পৃথক থাকা উচিত। বিসিসিআই-ও যে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছয়নি, তা বলাই বাহুল্য। তবে ভারত-পাকিস্তান বিশ্বকাপের ম্যাচ বাংলাদেশে আয়োজনে আইসিসি বা সম্প্রচারকারী সংস্থা কেউই রাজি হবে না।