এশিয়া কাপের জন্য পিসিবির প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলটি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) অনুমোদিত হতে পারে, যেখানে শ্রীলঙ্কাকে নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসাবে বিবেচনা করা হবে যেখানে ভারত তাদের ম্যাচ খেলতে পারে। মডেলটি অনুসারে টুর্নামেন্টের ১৩টি ম্যাচের চারটি পাকিস্তানে এবং ভারত-পাকিস্তান সহ সব ম্যাচ শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনালও শ্রীলঙ্কাতে হবে যদি ভারত ফাইনাল খেলে। ESPNcricinfo-এর মতে সপ্তাহান্তের পরে একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে পারে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে। পাকিস্তান লেগ-এর জন্য লাহোরে খেলা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই অনুমোদন অচলাবস্থার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য যা আইসিসি ইভেন্টগুলি যেমন, বিশ্বকাপের জন্য ভারতে আসার ব্যাপারে পাকিস্তানের পথ সহজ করতে পারে।
Pakistan set to host 4 matches of Asia Cup 2023, 9 matches including India vs Pakistan in Sri Lanka. [PTI] pic.twitter.com/7W8fQo7FqO
— Johns. (@CricCrazyJohns) June 10, 2023
ভারত ও পাকিস্তান অন্যের দেশে যেতে রাজি না হওয়ায় সমাধান হিসাবে হাইব্রিড মডেলটি প্রস্তাব করা হয়েছিল। ভারত পাকিস্তান সফরে যেতে অস্বীকৃতি জানানোয় পাকিস্তান এই মডেলের সঙ্গে যেতে বাধ্য হয়। টুর্নামেন্টে পাকিস্তান-ভারত ম্যাচের সময় গেট রিসিটের লোভনীয় সুযোগের কথা উল্লেখ করে পাকিস্তান প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দ্বিতীয় ভেন্যু হিসেবে প্রস্তাব দিয়েছিল। দু'সপ্তাহ আগে দুবাইয়ে এক বৈঠকে পিসিবি প্রধান নাজাম শেঠি এই হাইব্রিড মডেলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন ওমান ক্রিকেটের প্রধান ও এসিসি সহ-সভাপতি পঙ্কজ খিমজির কাছে।
Pakistan will travel to India for the World Cup and they will host 4 matches in Asia Cup 2023. [PTI] pic.twitter.com/NoSAPNzY6T
— Johns. (@CricCrazyJohns) June 10, 2023
দুই দেশের সরকারের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে ভারত পাকিস্তান সফরে যাবে না বলে পিসিবি হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দিয়েছিল। পিসিবি আয়োজক হিসেবে অন্তত টুর্নামেন্টের কিছু ম্যাচ যেন পাকিস্তানে হয়, তা নিশ্চিত করতে আগ্রহী। নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে দৌড়ে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং পুরো টুর্নামেন্ট আয়োজনে আগ্রহী ছিল শ্রীলঙ্কা। একপর্যায়ে বিসিবি ও এসএলসি হাইব্রিড মডেলকে 'না' করে দিয়েছিল।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এশিয়া কাপে নেপালের সঙ্গে গ্রুপে রয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। অন্য গ্রুপে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ১৩ দিন ধরে ফাইনালসহ মোট ১৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২২ সালের ফরম্যাটের মতো, আশা করা হচ্ছে যে প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সুপার ৪ রাউন্ডে অগ্রসর হবে, সেই ফাইনাল থেকে শীর্ষ দুটি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এর ফলে ভারত-পাকিস্তানের তিন বার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।