(Photo: Flickr)

বেজিং, ১৪ জুলাই: করোনা সংক্রমণ সবার আগে শুরু হয়েছিল চিনেই। চিন থেকেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ছিল করোনা। করোনার কারণে অলিম্পিক পিছিয়ে গিয়েছে এক বছর। অথচ সেই চিনের খেলায় যে করোনার প্রভাবে সেভাবে প্রভাব পড়েনি তা বোঝা যাচ্ছে টোকিও অলিম্পিকে তাদের রেকর্ড সংখ্যক অ্যাথলিটদের অংশগ্রহণে। চিনের চারশোরও বেশী অ্যাথলিট খেলবেন টোকিও অলিম্পিকে। চিনের রেকর্ড সংখ্যক মহিলা অ্যাথলিটদেরও টোকিওতে খেলতে দেখা যাবে। পুরুষ অ্যাথলটিদের থেকে প্রায় তিনগুণ বেশি মহিলা অ্যাথলিটকে অলিম্পিকে খেলতে পাঠাচ্ছে মহান প্রাচীরের দেশ।

চিনের ২৯৮ জন মহিলা ও ১৩৩ জন পুরুষ ক্রীড়াবিদরা অলিম্পিকে খেলতে টোকিওর উদ্দেশ্যে উড়ে যাচ্ছেন। কোচ-সাপোর্ট স্টাফ সহ মোট ৭৭৭ জনের দল টোকিওতে পাঠাচ্ছে চিন। যা চিনের বাইরে হওয়া অলিম্পিক গেমসে রেকর্ড। ড্রাগনের দেশে অলিম্পিকে সবচেয়ে কম বয়সী অ্যাথলিট হলেন মেয়ে ডাইভার কুয়ান হংচান (১৪ বছর)। আর সবচেয়ে বেশি বয়সী চিনা ক্রীড়াবিদ হলেন ৫২ বছরের ইকুয়েস্ট্রিয়ান রাইডার লি ঝাংগিয়াং জিংহুয়া। ২০০৮ বেজিং অলিম্পিকে চিনের ৬৩৯ জন ক্রীড়াবিদ অংশ নিয়েছিলেন। বিদেশে হওয়া গেমসে এবারের মত এত ক্রীড়াবিদ কখনই পাঠাইনি চিন।

টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, জিমন্যাস্টিক, ভারত্তোলন, শ্যুটিং এবং ডাইভিংয়ের মত ইভেন্টে অনেক পদক জেতার সম্ভাবনা আছে চিনের অ্যাথলিটদের। ২০১৬ রিও অলিম্পিক্সে চিন মোট ২৬টি সোনা সহ ৬৮টি পদক জিতে পদক তালিকায় তৃতীয় স্থানে শেষ করেছিল। চিনের চেয়ে একটা বেশি সোনা জিতে দ্বিতীয় হয়েছিল গ্রেট ব্রিটেন। ৪৬টি সোনা জিতে শীর্ষে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১২১টি পদক)।