Suchetha Satish Sings Corona Awareness Songs: করোনার সচেতনতায় বাংলা সহ ২২টি ভাষায় গান গেয়ে নজির কিশোরীর
সুচেতা সতীশ (Photo Credits: @SatishSuchetha)

করোনাভাইরসের সংক্রমণ রুখতে ২২টি ভাষায় সচেতনতামূলক (COVID-19 Awareness) গান গেয়ে সকলকে অবাক করে দিলেন এক আনাবাসী ভারতীয় কিশোরী। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির (UAE) বাসিন্দা ওই কিশোরী ২২টি ভাষায় রচনা করে গেয়েছেন। খালিজ টাইমসের রিপোর্টে বলেছে, ১৪ বছর বয়সী সুচেতা সতীশ (Suchetha Satish) তাঁর মায়ের লেখা গান আরবি এবং ২১টি ভারতীয় ভাষায় রচনা করেছেন। তাঁর মা সুমিতা আইলিয়াথ (Sumitha Ayilliath) গানটি লিখেছেন। কেরালা সরকার মালায়ালাম, হিন্দি, বাংলা, তামিল এবং অসমিয়া ভাষায় তাঁর গান প্রকাশ করেছে।

একটি কনসার্টে সর্বাধিক ভাষায় গান গাওয়া এবং ওই বয়সে দীর্ঘতম লাইভ কনসার্টের জন্য সুচেতা দুবার বিশ্ব রেকর্ড গড়ছেন। সুচেতা তার প্রথম গানটি ১৬ মার্চ ইংরেজিতে "সাই নো টু প্যানিক" শিরোনাম প্রকাশ করেন। পরে, সংযুক্ত আরব আমিরাশাহির কেরালাইট সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে তিনি তার দ্বিতীয় গানটি মাতৃভাষা মালায়ালামে প্রকাশ করেছিলেন। সুচেতা বলেন, "সংগীত সবসময়ই আমার যোগাযোগের ভাষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার মা সুমিতার সাহায্যে আমি গানটি লিখেছি এবং পুরো গানটি রচনা করেছি ...সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য আমি আমার বাবার কাছ থেকে ইনপুট নিয়েছিলাম এবং এভাবেই গানটি তৈরি হয়েছিল। রেকর্ডিং আমার বাড়ির স্টুডিওতে করা হয়েছে।"

খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গানের লিরিকের মাধ্যমে সুচেতা সাধারণ মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং হাত ধোওয়ার অভ্যাস করার বিষয় সচেতন করেছেন। সুচেতা বলেন, "আমার মালায়ালাম গান কেরালার সামাজিক সুরক্ষা মিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। ওরাই আমাকে সেখানকার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য রেকর্ড করার জন্য অনুরোধ করেছিল। আমি তখন এটি হিন্দি, বাংলা, তামিল ও অসমিয়াতে অনুবাদ করি।" আরও পড়ুন: Delhi: অর্থনীতি চাঙ্গা করা সুরাপ্রেমীদের ফুল ছড়িয়ে বরণ করা হল দিল্লির চান্দের নগরে, দেখুন ভিডিও

শুনুন সুচেতার বাংলা গান:

সুচেতা জানান, সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এবং পরিবার-বন্ধুদের থেকে উৎসাহ পান। এরপরই কন্নড়, তুলু, কোঙ্কণী, মারাঠি, গুজরাতি, রাজস্থানি, সিন্ধি, হিমাচলি, ওড়িয়া, মণিপুরী, নেপালি, উর্দু, পাঞ্জাবি, ভোজপুরি, তেলেগু, কাশ্মীরি এবং সংস্কৃত সহ আরও অনেক ভারতীয় ভাষায় গানটি রেকর্ড করার সিদ্ধান্ত নেন।