এই সেই বাথরুমের দরজা(Photo Credit : Twitter)

ইসলামাবাদ, ২২ জুলাই: শৌচালয় এমনিতেই খুব প্রয়োজনের। সেই শৌচালয়ে যদি সাধারণের প্রবেশের বিধিনিষেধ আরোপিত হয় তখন তো বিপত্তির শেষ থাকে না। মোটের উপর শৌচালয়টির তত্ত্বাবধান সরকারের অধীনে থাকলে ক্ষোভ আরও বেড়ে যাবে তাতে সন্দেহ নেই। এমনটাই ঘটেছে পাকিস্তানে। রাজধানী ইসলামাবাদে শিল্প উৎপাদন মন্ত্রকের তৈরি নতুন শৌচালয়। সেটায় নাকি বসানো হয়েছে বায়োমেট্রিক সেন্সর। তাই প্রকৃতির ডাক এলেও  ওই শৌচালয়ে যেতে পারবেন না মন্ত্রকের সাধারণ কর্মীরা। দরজাই খুলবে না, একমাত্র ভিভিআইপি-রা এসে দরজায় আঙুল ছোঁয়ালে শৌচালয় উন্মুক্ত হবে। নাহলে সে বন্ধ হয়েই পড়ে থাকবে। আরও পড়ুন-হরিণ ছানাকে মাতৃদুগ্ধ পান করাচ্ছেন বিশনোই বধূ, ভাইরাল সেই ছবি

শৌচালয় বিভিন্ন রকমের হতে পারে, তাবলে বায়োমেট্রিক সেন্সর লাগানো শৌচালয়, যেখানে আপনি প্রয়োজনে যেতেই পারবেন না। কেননা আপনি ভিভিআইপি তো ননই। তারউপরে আপনার আঙুলের ছাপ নেই সেই শৌচালয়ের সেন্সর মেশিনে। এবার বুঝুন ঠ্যালা। এহেন খবর প্রকাশ্যে আসতেই ইমরান খান সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছে সেদেশের নেটিজেনরা। উগড়ে দিচ্ছে ক্ষোভ, বিদ্রুপে ভরেছে কমেন্ট বক্স।

পাকিস্তানের এক সংবাদপত্র সূত্রে জানা গিয়েছে, এই শৌচালয় মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব বা তার উপরের স্তরের আধিকারিকরাই ব্যবহার করতে পারবেন। এমনও জানা গিয়েছে, মন্ত্রকের অন্যান্য কর্মীদের জন্য যে শৌচালয় রয়েছে, সেখানে সাবানের মতো সাধারণ প্রয়োজনীয় জিনিসও অনেক সময় থাকে না। সেই জায়গায় ভিভিআইপি শৌচালয় নিয়ে সমালোচনা স্বাভাবিক।নির্বাচনের আগে নতুন পাকিস্তান গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁরই মন্ত্রিসভার এক সদস্য যে এভাবে পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন তা মনে হয় এই প্রজন্ম বুঝতে পারেনন। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে বিরূপ মন্তব্য।পাকিস্তানকে এগিয়ে দেওয়ার বদলে যে সাধারণ দেশবাসীকে পিছিয়ে একঘরে করে দূরে সারোনর প্রচেষ্টা হচ্ছে তা এই বায়োমেট্রিক সেন্সর লাগানো শৌচালয় মনে করিয়ে দিচ্ছে। বাকিটা নাহয় পাঠকরা ভাবুন।