বিয়ের পর শাঁখা-সিঁদুর না পরলে বোঝা যায় বিবাহ মেনে নেননি ওই মহিলা, এমনই দাবি করল গুয়াহাটি আদালত (Guahati HC)। হিন্দু সংস্কৃতি অনুযায়ী শাঁখা-সিঁদুর বিবাহিত মহিলার চিহ্ন। আর এই চিহ্ন তিনি তাঁর স্বামীর মঙ্গল কামনায় পরে থাকেন। এই নিয়মের যারা উলঙ্ঘন করেন তারা বিবাহের (Marriage) সম্পর্কটি মেনে নেন না অথবা বঞ্চিত করতে চান, বলেই দাবি করে গুয়াহাটি আদালত। হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুযায়ী, এই তথ্যই উঠে এসেছে।
কিছুদিন আগে গুয়াহাটির এক মহিলা বিয়ের কিছুদিন পর একান্নবর্তী পরিবার ছেড়ে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থাকার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। এই বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে ছেদ পড়ে। লাগাতার ঝগড়া-ঝাটি হতে শুরু করে। ওই মহিলা সন্তান ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন। তাই তিনি শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে চলে যান এবং তাঁর স্বামী ও পরিবারের নাম ৪৯৮(এ) ধারায় মামলা দায়ের করেন। তবে আদালতে স্বামীর পক্ষে সে দোষী নয় বলে জানানো হয়েছে। আরও পড়ুন, মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতে ভেসে এল ৩৫ ফুট লম্বা তিমির দেহ, এলাকায় উপচে পড়ল ভিড়
Refusal by wife to wear sakha and sindoor signifies refusal to accept marriage: Gauhati HC
(reports @legaljournalist)https://t.co/XNaZeu0tGH pic.twitter.com/mNgJKObULC
— Hindustan Times (@htTweets) June 29, 2020
স্ত্রী স্বামীর নাম নিষ্ঠুরতার অভিযোগ জানিয়ে ডিভোর্সের মামলা করেন। যদিও স্বামীর বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। স্বামী অভিযোগ জানান, তাঁর স্ত্রী শাঁখা, সিঁদুর পরে না। এরপরই আদালত জানায়-বিয়ের পর শাঁখা-সিঁদুর না পরলে বোঝা যায় বিবাহ মেনে নেননি ওই মহিলা।