Artificial Hymen and ‘Blood’ Capsules for the First Night: প্রথম রাতে সতীত্বের (Virgin) সঠিক প্রমাণ দিতে অনলাইনে (Online) বিক্রি হচ্ছে রক্তভরা ক্যাপসুল (Blood Capsules)। ভার্জিনিটি (Virginity) হারিয়ে ফেলা মহিলাদের জন্য আমাজন (Amazon) বিক্রি করছে এই ধরণের ক্যাপসুল। শুধু তাই নয় আলগা হওয়া সতীচ্ছদকে টানটান করতেও পাওয়া যাচ্ছে ট্যাবলেট। সতীত্ব প্রমাণে রক্তপাতের ক্যাপসুলের দাম প্রায় ২০০০ টাকার (Rs 2000) ওপর। এর ফলেই নেটিজেনদের (Netizen) ক্ষোভের (Angry) মুখে পড়তে হল আমাজন সংস্থাকে।
প্রশ্ন উঠেছে তবে কি আধুনিকতার সীমা পেড়িয়েছে? প্রশ্নের দুরকম মানে হয়। মানুষ আধুনিকতার (Modern) শীর্ষে পৌঁছেছে। বিজ্ঞানীরা চাঁদে পৌঁছানোর প্রচেষ্টায় দিনরাত এক করে দিচ্ছে। সেখানে নারীর সতীত্ব প্রমাণ দেওয়ার জন্য ক্যাপসুলের ব্যবহার কি আবশ্যিক? পাশাপাশি এই প্রশ্নও উঠছে সতীচ্ছদ খণ্ডন হলে ক্যাপসুল দিয়ে মিথ্যের সাহায্য নেওয়া কি সঠিক পন্থা? প্রশ্ন নেটিজেনদের মুখে মুখে। একাংশের দাবি, নারীদের সতীত্ব প্রমাণ করার রেওয়াজ এ যুগে কেন? যুগ বদলেছে সুতরাং ক্যাপসুল বিক্রি করে সতীত্ব প্রমাণ করা নয়, ধারণা বদলানোর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি জরুরি। এইধরণের ক্যাপসুল বিক্রি করে নারীদের অপমান করা হচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা। অন্যদিকে এই প্রশ্নটাও নেটিজেনদের মুখে উঠে আসে এভাবে মিথ্যের আশ্রয় কেন নেওয়া হচ্ছে? ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে আধুনিকতা বলে দাবি তাঁদের।
এভাবেই হচ্ছে প্রচার:
আশ্চর্যের বিষয় হল, আমাজনে বিক্রি হওয়া পণ্য নিশ্চয় কোনো স্মার্টফোন ব্যবহারকারীই (Smartphone Users) কেনেন। স্মার্টফোন ব্যবহার করার জন্য যে শিক্ষার প্রয়োজন তা তাঁদের রয়েছে। শিক্ষা ও জ্ঞান থাকা সত্বেও কুসংস্কার কীভাবে একটা মানুষকে গ্রাস করতে পারে? চিকিৎসকেরা (Doctors) বারবার জানিয়েছেন, হাইমেন (Hymen) অক্ষত থাকা বা না থাকার সঙ্গে শারীরিক মিলনের কোনও কারণ নেই। কারণ সাইক্লিং (Cycling), সাঁতার (Swimming) বা অন্য কোনও স্পোর্টসের সঙ্গে যুক্ত থাকা বা অন্য আরও একাধিক কারণের জন্য হাইমেন বা সতীচ্ছদ অক্ষত নাও থাকতে পারে। কিশোরী বয়সেই ছিঁড়ে যেতে পারে হাইমেন। ফলে সে ক্ষেত্রে বিয়ের আগে হোক বা পরে, যৌন সম্পর্ক স্থাপনের সময়ে রক্তপাতের প্রশ্নই ওঠে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে উঠেছে প্রবল বিতর্কের ঝড়। এই অশিক্ষা, কুসংস্কার থেকে কবে রেহাই পাবে সমাজ?