![](https://bnst1.latestly.com/wp-content/uploads/2019/05/sweating-380x214.jpg)
গরম কালে ঘাম হবে না তো হবে কি।তবে ঘাম হলে যেমন অতিরিক্ত গরমের হাত থেকে সাময়িক মুক্তি মেলে তেমনই দুর্গন্ধের বদান্যতায় অফিসে, বাড়িতে রাস্তাঘাটে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাই গামের খারাপ ভাল দুটো দিকই রয়েছে। এই গরমে শরীরও ঠান্ডা রাখবেন পাশাপাশি অন্যদের কাছে নিজের উপস্থিতি বিরক্তির হবে না, এমন ইচ্ছে থাকলে এই নিয়মগুলি মেনে চলুন।
রোদ থেকে দূরে থাকুন
গরম কালে বরুণদেব বড়ই প্রখর হয়ে ওঠেন, তাঁর অকৃপণ দানে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাই যতটা পারবেন রোদ্দুরকে এড়িয়ে চলুন। খুব বেশি কাজকর্ম থাকলে বিকেলটা বেছে নিন। যদি একান্তই বেড়োতে হয় তাহলে অল্প সময়ে জন্য যান।কারণ রোদ্দুরে বেরোবেন আর ঘাম হবে না এতো হয় না। আর ঘাম হলেই তো দুর্গন্ধ হবে যা আপনার দৈনন্দিন জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলতে পারে।
হালকা খাবার খান
গরমে খেয়েও শান্তি নেই, একটু ভালমন্দ রা্ন্না হল আর অমনি পেটপুরে খেলেন দেখবেন স্বস্তি পাচ্ছেন না। তাই এসময় হালকা খাবারদাবার, শাকসবজি, জল, ফলের রস বেশি করে খান। খাবারের তালিকায় ভাজাভুজি, রোল চাউমিন, বার্গার, এড়িয়ে চলুন। মোগলাই খানার দিকেও ফিরে তাকাবেন না। দেখবেন ভাল আছেন, অনেকটা পরিশ্রম করলেও ঘেমেনেয়ে গা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে না। আসলে হালকা খাবার শরীরে তাপমাত্রার ভারসাম্য রাখে। একইভাবে মশলাদার খাবর শরীরকে গরম করে দেয়। ত্বকের লোমকূপে থাকা একধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে এসে সেই ঘাম দুর্গন্ধে পরিণত হতেই ঘটে বিপত্তি। হালকা খাবার খেলে এসব সমস্যা এড়ানো যায়, বাসে ট্রামে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় না।
বডি স্প্রে ব্যবহার করুন
এখন ফ্যাশনের দুনিয়া, ক্রেতাকে খুশি করতে কত রকম সুগন্ধী স্প্রে বাজারে রয়েছে। তারমধ্যে থেকে এমন একটি বড়ি স্প্রে বাছুন যা আপনার বগল ও গলার ঘাম শুষে নেবে। একই সঙ্গে আপনার গা ঘেঁষে কেউ বেরিয়ে গেলে মৃদু সুগন্ধের উপস্থিতি টের পাবে। রাস্তায় অফিসে বাড়তি নজর আদায় করতে পারবেন।
হালকা রঙের জামা পরুন
গরমে চোখ ত্বকের আরাম দিতে সব সময় হালকা রঙের জামা ব্যবহার করুন। অন্তত দিনের বেলায়, কেননা গাঢ় রঙের জামা অতিরিক্ত তাপ শোষণ করে। আর আমরা জানি যে তাপ বেশি শোষণ করলে শরীর গরম হবে, সঙ্গেসঙ্গেই ঘামতে শুরু করবেন। আর ঘাম হলে তো রেহাই নেই দুর্গন্ধ তো ঘামের আর এক নাম ছাড়া আরকিছুই নয়। দিনের বেলায় হালকা রঙের জামা পড়ুন। বাড়িতে থাকলে জানলা দরজার পর্দা টেনে রাখুন। তাহলে ঘরে রোদ্দুরে তাপ প্রবেশ করতে পারবে না। আপনার শরীরও ঠান্ডা থাকবে। ঘাম থেকে নিস্তার পাবেন।