প্রতীকী ছবি

মহারাষ্ট্র (Maharashtra) জুড়ে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে হাম আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই হামে আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ে এক বছর বয়সি এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে এই সংক্রমণ। সর্ব শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও অবধি মহারাষ্ট্রে হামে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩৮ জন। মুম্বই পুরনিগমের তথ্য অনুযায়ী সেপ্টেম্বর থেকে এখনও অবধি মুম্বইয়ে ১৬৩ জন হামে আক্রন্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৯৯ জনই শিশু। শিশুদের মধ্যেই প্রবলভাবে বাড়ছে হামের (Measles) প্রবণতা।

কী এই হাম? (What is Measles)

হাম হল মরিবিলিভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি ভাইরাল সংক্রমণ। এই ভাইরাস সবার প্রথমে রোগীর শ্বাসতন্ত্রে আক্রমণ করে। কাশি এবং হাঁচির দ্বারা এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়। সংক্রমিত রোগীর ব্যবহার করা জিনিসে হাত দিয়ে সেই হাত চোখে কিংবা মুখে দিলে অপর ব্যক্তির শরীরে অনাসায়ে প্রবেশ করবে হামের ভাইরাস।

হামের উপসর্গ গুলো কী কী? (Measles Symptoms)

এই ভাইরাস ‘কালচার’ করা এখনও সম্ভব হয়নি। কিন্তু সব ধরনের ভাইরাল রোগগুলোকে উপসর্গ দেখের শনাক্ত করা যায়। প্রাথমিক ভাবে হামের লক্ষণ জ্বর, সর্দি, হাঁচি, চোখ লাল হওয়া, সারা শরীরে অসহ্য ব্যথা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে গায়ে ছোট ছোট দানা বের হয়। ধীরে ধীরে সেই ছোট দানা গুলো ফোস্কার মত আকার নেয়। সঠিক ওষুধ এবং যত্নে কিছু দিনের মধ্যে সেগুলি মিলিয়ে যায় এবং রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে।

হামের চিকিৎসা কী? (Measles Treatment)

এখনও অবধি সেই অর্থে হামের কোন ওষুধ নেই। যত্ন এবং সুষম আহার ধীরে ধীরে সুস্থ করে তুলতে পারে রোগীকে। সচেতন না হলে নিউমোনিয়ে, ব্রঙ্কাইটিস, কাশি, পেটের গণ্ডগোল নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে প্রাণহানির আশঙ্কাও থেকে যায়। ।

প্রতিকারঃ (Measles Prevention)

হাম বা বসন্তের প্রতিকার বলতে একমাত্র টিকাকরণ। বিগত দুই বছরে করোনার জেরে হাম, রেবেলা, মাম্পসের টিকাকরণের কাজ ব্যহত হয়েছে। যার কারণে মারাত্মক ভাবে সংক্রমিত হচ্ছে এই ভাইরাস। তবে পর্যাপ্ত ভাবে যদি হাইজিনের বিষয়টা মাথায় রাখা যায় তা হলেও অনেক ক্ষেত্রে উপকার হয়।