ত্বক উজ্জ্বল রাখার জন্য অনেক ধরনের চেষ্টা করা হয়, চিকিৎসা মাধ্যমে ব্যয়বহুল ত্বকের যত্ন হোক বা ব্যয়বহুল পণ্যের ব্যবহার। কিন্তু এত কিছু করার পরও এমন অনেক মানুষ রয়েছে যাদের কোনও লাভ হয় না। ত্বক উজ্জ্বল করতে প্রয়োজন অভ্যন্তরীণ পুষ্টি, ত্বককে সুস্থ রাখতে ভিটামিনের প্রয়োজন। এর জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু বিশেষ ভিটামিন অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এগুলো ত্বককে অনেকদিন সুন্দর রাখতে এবং কোষের ক্ষতিকর প্রভাব দূর করে ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদের মতে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে ভিটামিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা খুবই জরুরি। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন এ কোলাজেন উৎপাদন এবং ত্বকের নমনীয়তা বাড়ায়। এটি ত্বককে ব্রণ এবং ফ্রি র্যাডিক্যাল ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে। এছাড়া ভিটামিন এ ত্বকে বার্ধক্যের প্রভাব কমাতেও সাহায্য করে। পেঁপে, ব্রকলি, অ্যাভোকাডো, গাজর এবং টমেটোর মতো খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়।
ভিটামিন বি৩ সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। রোদে বের হওয়ার পর ত্বকে পিগমেন্টেশন দেখতে পাওয়া যায়, ইউভিএ এবং ইউভিবি-র সমস্যা সমাধানের জন্য ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ভিটামিন বি৩। এর জন্য অ্যাভোকাডো, গাজর, বাদাম, মটর জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করে, যা ত্বককে সুস্থ রাখতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক দ্রুত মেরামত করতে সাহায্য করে। আমলা, কমলালেবু, লেবু এবং অ্যাভোকাডো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।
ভিটামিন ই ত্বককে উজ্জ্বল ও কোমল রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই বার্ধক্যের লক্ষণগুলিও হ্রাস করে, ইউভির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে এবং মুখের প্রদাহ প্রতিরোধ করে। একজিমার মতো ত্বক সম্পর্কিত অনেক সমস্যা নিরাময় করে ভিটামিন ই। ভিটামিন কে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না এবং ত্বককে কোমল রাখতে ও ডার্ক সার্কেল দূর করতে সাহায্য করে। পালং শাক, অ্যাভোকাডো এবং ব্রকলির মতো স্বাস্থ্যকর খাবারে পাওয়া যায় ভিটামিন কে।