ভিটামিনের অভাবে বিভিন্ন রোগের শিকার হয় শরীর। ভিটামিন মোট ১৩ ধরনের হয় এবং প্রতিটি ভিটামিন শরীরে ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা পালন করে। বর্তমান যুগে খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার কারণে শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি দেখা যায়, বিশেষ করে ভিটামিন বি ১২ এবং ভিটামিন ডি-এর তীব্র ঘাটতি দেখা দেয়। ভিটামিন বি ১২ মানুষের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন বি ১২ রক্তকণিকা গ্লিয়াল কোষের জন্য খুবই উপকারী। গ্লিয়াল কোষ স্নায়ুকে সুরক্ষা প্রদান করে। এছাড়া ভিটামিন বি ১২ এর অভাবের কারণে স্নায়ুতন্ত্র ও স্নায়ুগুলিকে দুর্বল হতে শুরু করে এবং ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড় ভাঙতে শুরু করে।

ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। ভিটামিনের অভাবে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভিটামিন বি-এর মধ্যে ৮টি ভাগ রয়েছে, সেগুলো হল বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, বি৭, বি৯, বি১২। এছাড়া রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, এবং ভিটামিন কে। ভিটামিন বি১, বি২, বি৬, বি৯ এবং বি১২ জলে দ্রবণীয় ভিটামিন। ভিটামিন সি খালি পেটে খাওয়া খুব উপকারী। সকালের নাস্তার ১ ঘন্টা আগে বা পরে খাওয়া উচিত ভিটামিন সি।

সেলুলার মেটাবলিজম বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন। শরীরে শক্তি উৎপাদন করে এবং শরীরের সমস্ত কার্য সম্পাদন করে ভিটামিন। তাই ভিটামিন গ্রহণ করা খুবই জরুরি। ভিটামিন সি এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়, স্কার্ভি হয় এবং মাড়ি থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়। ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড় দুর্বল হয়ে যায়, যার কারণে রিকেট বা অস্টিওম্যালাসিয়ার মতো রোগ হতে পারে। এছাড়া ভিটামিন ডি এর অভাবে দুর্বল পেশী এবং বিষণ্নতার সমস্যা হতে পারে। ভিটামিন কে-এর অভাবে রক্ত সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। তবে ভিটামিনের ঘাটতির পাশাপাশি অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণ করলেও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।