শীতে সবুজ শাক খাওয়া খুবই উপকারী। সবুজ শাকে প্রচুর পুষ্টি উপাদান থাকার কারণে অনেক রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে এটি। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন এ, সি, কে, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান রয়েছে। পালং শাক পুষ্টিগুণে ভরপুর হলেও অনেক সময় রান্নার ভুলে এর গুণ কমে যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক পালং শাক খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি। ভিটামিন সি-এর সঙ্গে যুক্ত করে খাওয়া যেতে পারে পালং শাক। লেবু, কমলালেবু, ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরির মতো টক ফলের সঙ্গে পালং শাক খেলে শরীরে আয়রন সঠিকভাবে শোষিত হয়।

পালং শাকের সবথেকে ভালো ব্যাপার হল এটি যত বেশি রান্না করা হয় তাতে আয়রনের মতো পুষ্টিগুণ তত বেশি বৃদ্ধি পায়। ভাজা পালং শাক, ভাপ বা স্যুপ খাওয়াও শরীরের জন্য সমান উপকারী। পালং শাকে রয়েছে পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। পালং শাকে রয়েছে লুটেইন এবং জেক্সানথিন, যা বয়সজনিত চোখের রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন কে, যা ক্যালসিয়াম শোষণ এবং হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। পালং শাকে রয়েছে আয়রন, যা শরীরকে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে।

পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং কম ক্যালোরি থাকে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন সি, যা কোলাজেন গঠন ও বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা ত্বক ও চুলের গঠন প্রদান করে। পালং শাকে রয়েছে আলফা-লাইপোইক অ্যাসিড, যা গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। গবেষণায় জানা গিয়েছে, সবুজ শাকসবজি সমৃদ্ধ খাবার খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কম হতে পারে। ফল এবং শাকসবজি সমৃদ্ধ খাবার হাঁপানির লক্ষণগুলির তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে।