Credit: Pixabay

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ বাড়িয়েছে মাঙ্কিপক্স, এর নতুন স্ট্রেন পাওয়া গেছে আফ্রিকায়, যা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাঙ্কিপক্সের নতুন স্ট্রেন খুব বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতি ১০ জন সংক্রামিত ব্যক্তির মধ্যে ১ জনের মৃত্যুর কারণ এই ভাইরাস। মাঙ্কিপক্সের লক্ষণগুলি হল ফুসকুড়ি, জ্বর, শরীরের ব্যথা, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, ক্লান্তি, শিরা ফুলে যাওয়া, ঠান্ডা অনুভব হওয়া। সংক্রমিত মানুষ এবং পশুদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা উচিত। এর উপসর্গ উপেক্ষা করা উচিত নয়। শরীরে ব্রণ বা ফুসকুড়ি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

Mpoxও বলা হয়‌ মাঙ্কিপক্সকে, এটি একটি সংক্রামক রোগ, যা গুটিবসন্তের মতো। গুটিবসন্ত পরিবারের সদস্য বলে বিবেচিত করা হয় মাঙ্কিপক্সকে। ১৯৫৮ সালে বানরের মধ্যে প্রথম পাওয়া যায় মাঙ্কিপক্স, এরপরে ১৯৭০ সালে আফ্রিকার ১০টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই সংক্রামক রোগ। ২০২২ সালে প্রথমবার আফ্রিকা ছেড়ে ব্রিটেনে প্রবেশ করে মাঙ্কিপক্স। এরপর বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পুরুষদের সঙ্গে যৌন মিলনকারী পুরুষদের মধ্যে বেশি পাওয়া গিয়েছিল মাঙ্কিপক্স।

২০২২ সালে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে মাঙ্কিপক্স‌। সেই সময় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ এর কারণে প্রাণ হারায়। তখন মাঙ্কিপক্সের মাত্র দুটি স্ট্রেন ছিল, যা কম বিপজ্জনক ছিল। কিন্তু বর্তমানের নতুন স্ট্রেন খুবই বিপজ্জনক। WHO এর মতে, MPox সংক্রমণ শ্বাস প্রশ্বাস অর্থাৎ হাঁচি, ত্বকের সংস্পর্শ, যৌনাঙ্গ, মিউকোসাল পৃষ্ঠ বা শ্বাসযন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে বেরিয়ে আসা তরলের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত প্রাণীর সংস্পর্শে আসলে এর ঝুঁকি বেড়ে যায়। শরীরের ক্ষত স্থান থেকে চোখ, নাক ও মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে খুব তাড়াতাড়ি একজনকে আক্রান্ত করতে পারে এই ভাইরাস।