ড্রাই আই সিনড্রোম একটি সাধারণ চোখের সমস্যা, এই সময় চোখ শুষ্ক হয়ে যায়, বর্তমানে অনেকেই আক্রান্ত হয় চোখের এই সমস্যায়। এটি কেরাটোকনজাংটিভাইটিস সিকা নামেও পরিচিত। চোখের এই সমস্যা তখন হয় যখন চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে অশ্রু তৈরি হয় না। এর ফলে চোখে শুষ্কতা, জ্বালাভাব, লালচেভাব এবং ঝাপসা দৃষ্টির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এই কারণে ড্রাই আই সিনড্রোম সম্বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রতি বছর জুলাই মাসকে শুষ্ক চক্ষু সচেতনতা মাস হিসেবে পালন করা হয়।
গোলাপজল সাধারণত ত্বকের যত্নের জন্য ব্যবহার করা হয়, তবে এটি চোখের জন্যও খুব উপকারী। গোলাপজল ব্যবহার করে চোখকে সতেজ ও হাইড্রেট রাখা যায়, চোখের শুষ্কতা এবং জ্বালাভাব কমাতে সাহায্য করে গোলাপজল। চোখের ড্রপ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে এটি। গোলাপজলে উপস্থিত প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলি জ্বালাভাব কমাতে এবং আর্দ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে। শসাও চোখের জন্য উপকারী। শসায় প্রচুর পরিমাণে জল থাকে, যা চোখে আর্দ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া শসা চোখকে ঠাণ্ডা এবং হাইড্রেটেড রাখে। চোখ বন্ধ করে চোখের উপর শসার টুকরো রাখলে চোখের শুষ্কতা ও জ্বালাভাব থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাওয়া যায়।
শুষ্ক চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে খাঁটি গরুর ঘি। এই ঘি তার পুষ্টিকর এবং তৈলাক্ত বৈশিষ্ট্যের জন্য চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ঘুমানোর আগে চোখের পাতার চারপাশে অল্প পরিমাণ ঘি লাগিয়ে নেওয়া উপকারী। ঘি আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে, জ্বালা প্রশমিত করে এবং ফোলাভাব কমায়। অ্যালোভেরা জেলও শুষ্ক চোখের জন্য কার্যকর। অ্যালোভেরা জেল চোখের চারপাশে প্রয়োগ করলে চোখের শুষ্কতা কমে। এছাড়া ত্রিফলা, আমলকি, বিভিটকি এবং হরিতকির অনেক ঔষধি গুণের রয়েছে। ত্রিফলা জলে সিদ্ধ করে তার মধ্যে বাকি সবকিছু মিশিয়ে ফিল্টার করে ঠান্ডা করে নিতে হবে। চোখ ধোয়ার জন্য এই ঠান্ডা মিশ্রণ ব্যবহার করতে হবে। এটি চোখের শুষ্কতা কমাতে এবং চোখ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।