প্রচণ্ড গরমের পর স্বস্তি নিয়ে এসেছে বৃষ্টি। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে বেড়েছে অনেক রোগের প্রকোপ।বর্ষাকাল যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে মশার উপদ্রব। বাড়তে শুরু করেছে মশাবাহিত রোগের প্রকোপও। এমনই একটি মশাবাহিত রোগ হল ডেঙ্গু। এমতাবস্থায় সব বয়সের মানুষের সঙ্গে শিশুদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকা জরুরি। সাধারণত মানুষ মশার কামড়কে বিশেষ গুরুত্ব দেয় না, এর ফলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের ডেঙ্গুর ঝুঁকি বেশি থাকে। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত শিশুদের মৃত্যুর সম্ভাবনা বহুগুণ বেশি হয়।

৫-১০ বছর বয়সীদের ডেঙ্গুর কারণে হওয়া জ্বরের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। এক সমীক্ষা অনুসারে, ৮০ শতাংশেরও বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত শিশুর বয়স ১০ বছরের কম। এই সমীক্ষায় দেখা গেছে, মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা বেশি আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের মধ্যে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা চার গুণ বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সময়মতো চিকিৎসা না হলে ডেঙ্গুর কারণে মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর দুটি কারণ রয়েছে, প্রথমটি ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার এবং দ্বিতীয়টি ডেঙ্গু শক সিনড্রোম।

ডেঙ্গুর লক্ষণগুলি হল শরীরে ফুসকুড়ি, উচ্চ জ্বর, বমি, শরীরে ব্যথা, ডায়রিয়া ও আতঙ্ক। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বয়স্কদের তুলনায় কম হয়। এই সময় শিশুদের এমন খাবার খাওয়ানো উচিত যা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলবে, কারণ শরীর দুর্বল থাকলে শিশুরা ডেঙ্গু জ্বর সহ্য করতে পারে না। শিশুদের মধ্যে ডেঙ্গুর লক্ষণ সহজে ধরা পড়ে না। ডেঙ্গুর প্রথম লক্ষণ জ্বর, যা অনেকদিন পর শিশুদের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। শিশুরা বাইরে খেলতে যাওয়ার সময় ডেঙ্গু মশা কামড়ায়। তাই বাইরে যাওয়ার আগে শিশুরা ঠিকমতো পোশাক পরে রয়েছে কিনা তা দেখা জরুরি।