BSF (Photo Credits: X)

শ্রীনগর, ২৬ এপ্রিলঃ জম্মু কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পহেলগামে আচমকা জঙ্গি হামলা। প্রাণ কেড়েছে ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছিল কাশ্মীরে। কিন্তু পাক-জঙ্গিদের হানায় ভূ-স্বর্গ ফের উত্তপ্ত। ঝরল রক্ত। কাশ্মীরের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে আতঙ্ক। পহেলগাম হামলায় (Pahalgam Terrorist Attack) জড়িত জঙ্গিদের সন্ধানে উপত্যকার সর্বত্র চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ এবং নিরাপত্তারক্ষীরা। তল্লাশি অভিযান চলাকালীন শুক্রবার গভীর রাতে নিরাপত্তাবাহিনী দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বলে খবর।

কুলগাম (Kulgam) জেলার কাইমোহ এলাকার থোকারপোরা থেকে আটক হন দুজন। জানা যাচ্ছে, ওই দুই ধৃতের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগসাজশ রয়েছে। ধৃতদের সঙ্গে জঙ্গিদের কী সম্পর্ক? কীভাবে তাঁরা জঙ্গিদের সহায়তা করতেন? কী কী কাজে সহায়তা করেছেন? পহেলগামে পর্যটকদের উপর হামলার বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন কিনা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হবে। গোপন সূত্রে জঙ্গি যোগসাজশের খবর পেয়ে এলাকায় হানা দেয় নিরাপত্তাবাহিনী। আর সেই তল্লাশি অভিযানেই ধরা পড়েন দুই জঙ্গি সহযোগী।

মঙ্গলবার দুপুরে পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় আচমকাই হানা দেয় একদল জঙ্গি। পর্যটকদের নাম-ধর্ম জিজ্ঞাসা করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানের লশকর-ই-তায়বারের ছায়া সংগঠন 'দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট'। এই ঘটনার পরেই জম্মু কাশ্মীরের আনাচে-কানাচে শুরু হয় তল্লাশি। বুধবার সন্ধ্যাতেই কুলগাম জেলায় নিরাপত্তারক্ষী এবং জঙ্গিদের মধ্যে গুলির লড়াই বেধেছিল।

কুলগ্রামের তাংমার্গ এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর তল্লাশি অভিযানের সময়ে তাঁদের উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা গুলি চালান নিরাপত্তাকর্মীরাও। এই গুলির লড়াইয়েই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল কুলগামের তাংমার্গ এলাকায় নিশ্চিয় লুকিয়ে রয়েছে কিছু জঙ্গি। এরপরেই কুলগামে আরাও বাড়ানো হয় নিরাপত্তাবাহিনী। তল্লাশিতে আরও জোর দেওয়া হয়। সেই অভিযানেই হাতে এসেছে দুই জঙ্গি সহযোগী।