সম্প্রতি একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, সমস্ত উদ্ভিদে থাকে অ্যামিনো অ্যাসিড, অর্থাৎ প্রাণী-ভিত্তিক প্রোটিন উদ্ভিদ প্রোটিনের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, এই তথ্য ভুল। ওয়াশিংটন ডিসির জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ সায়েন্সের সহকারী অধ্যাপক বলেছেন যে প্রাণী ভিত্তিক প্রোটিনের তুলনায় উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিনে মৃত্যুর হার কম।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় গবেষণায় দেখা গেছে যে হাঁস-মুরগির মতো যেকোনও ধরনের মাংস, মাছ, দুগ্ধজাত পণ্য বা ডিম থেকে উদ্ভূত প্রোটিনের পরিবর্তে উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন খাওয়ার ফলে মৃত্যু হার কমে গিয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী উচ্চ-প্রোটিন যুক্ত মাংস খাওয়ার কারণে হাড়ের ক্যালসিয়াম ভারসাম্যের সমস্যা, ক্যান্সারের ঝুঁকি, লিভারের সমস্যা এবং করোনারি ধমনীর অবনতি দেখা দিতে পারে, যা পরবর্তীতে গুরুতর সমস্যার কারণ হতে পারে।
উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্য থেকে পাওয়া পুষ্টির কারণে ডায়াবেটিস, স্থূলতা, হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে। ভিটামিন বি ১২-এর অভাবের কারণে হাড়, চুল, ত্বক, নখে প্রভাব পড়ে। তাই যেকোনও খাদ্যে উপস্থিত ভিটামিন বি ১২ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সতর্ক হওয়া উচিত।