হিন্দু ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন সোমবতী অমাবস্যা, এই অমাবস্যা সোমবার পড়ে। মহাদেবের আশীর্বাদ পেতে, জীবন থেকে নেতিবাচক কর্মের প্রভাব দূর করতে এবং আধ্যাত্মিক বৃদ্ধি অর্জনের জন্য এই দিনে বিভিন্ন নিয়ম মেনে পুজো করে ভক্তরা। সোমবতী অমাবস্যার দিন বিবাহিত মহিলারা তাদের স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করে উপবাস পালন করে। ২০২৪ সালের শেষ সোমবতী অমাবস্যা পালন করা হবে ৩০ ডিসেম্বর, সোমবার। অমাবস্যা তিথি শুরু হবে ৩০ ডিসেম্বর ভোর ০৪:০১ মিনিটে এবং শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর ভোর ০৩:৫৬ মিনিটে। হিন্দু ক্যালেন্ডারে অমাবস্যা দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন, কারণ অনেক আচার অনুষ্ঠান শুধুমাত্র অমাবস্যা তিথিতে করা হয়।

সপ্তাহের সোমবার পড়া অমাবস্যাকে বলা হয় সোমবতী অমাবস্যা এবং সপ্তাহের শনিবারের অমাবস্যা শনি অমাবস্যা নামে পরিচিত। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক সোমবতী অমাবস্যার পুজোর পদ্ধতি। সোমবতী অমাবস্যার দিন ব্রহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরে সূর্যকে জল নিবেদন করা হয়। সোমবতী অমাবস্যার দিন বিবাহিত মহিলারা তাদের স্বামী এবং পরিবারের মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু কামনা করে উপবাস করে। অনেকে সূর্যোদয় থেকে চন্দ্রোদয় পর্যন্ত কঠোর উপবাস পালন করে। এই দিনে, পূর্বপুরুষদের সম্মান জানাতে, তাদের আশীর্বাদ এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করার জন্যেও বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান করা হয়।

কথিত আছে যে সোমবতী অমাবস্যার দিনে ব্রাহ্মণ ও অভাবীদের অন্ন, জল এবং বস্ত্র নিবেদন করলে পুণ্য লাভ হয়। শিবের পুজো করে এবং শিব মন্দিরে দুধ, ফুল ও বেলপত্র নিবেদন করা হয় এই দিন। এছাড়াও এই দিনে দেবী লক্ষ্মীর পুজো করাও শুভ বলে মনে করা হয়। বিবাহিত মহিলারা সোমবতী অমাবস্যার দিন অশ্বত্থ গাছের পুজো করে। এই দিনটিকে ধ্যান, সমৃদ্ধি, শান্তি এবং পরিত্রাণের জন্য ঐশ্বরিক আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য শুভ বলে মনে করা হয়। দরিদ্র ও ব্রাহ্মণদের খাদ্য, বস্ত্র বা অর্থ প্রদান এই দিনের একটি অপরিহার্য অংশ, যা নিঃস্বার্থতা এবং সহানুভূতি প্রচার করে।