কলকাতা, ১৬ ফেব্রুয়ারি: করোনাকালে বাণী বন্দনায় (Saraswati Puja) মেতে উঠেছে আম বাঙালি। লকডাউনের রেশ থেকে সবে সবে মুক্তি ঘটেছে স্কুল পড়ুয়াদের। তবে ভাইরাস কাঁটা এখনও সক্রিয়। তাবলে কী বিদ্যার দেবীর আরাধনা হবে না? হবেই তো। শুধু তো আর স্কুল কলেজ নয়, বাংলার ঘরে ঘরে পূজিত হন বাগদেবী। তাই দূর্মূল্যের বাজারেও সাধ্যমতো আয়োজনে পুজোর প্রস্তুতি সাড়া। শীতের কামড় কমায় সকাল সকাল স্নানের পর্ব মেটাতে খুদে পড়ুয়াদেরও কোনও আপত্তি নেই। অঞ্জলি দিতে হবে। তাই ঘুম ভাঙতেই শুরু হয়েছে তোরজোর। হলুদ শাড়িতে সাজগোজ, পাঞ্জাবিতেও রঙের বাহার। আজ যেন সেদিনের একরত্তিও ঝলমলে কিশোরী। নাকের নিচে হালকা সবুজ আভাও তারুণ্যের আলোয় ঝলমল করে হলুদ পাঞ্জাবিতে। আজ সরস্বতী পুজো, বাঙালির ভ্যালেন্টাইন্স ডে।
কিন্তু সবকিছুর মধ্যে কোভিড ভাইরাসের চোখ রাঙানি থেকেই যাচ্ছে। তাই প্রেমের উদযাপনেও সেই সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ। প্রথম শাড়ি পরার আনন্দ, সাজগোজও তেমনটা হওয়া উচিত। কিন্তু বাদ সেধেছে মাস্ক। শাড়ি টিপ কানের দুলের সঙ্গে ম্যাচিং লিপস্টিকই তো ঢাকা পড়বে মাস্কের আবরণে। তবে কুছ পরোয়া নেই। প্রায় এক বছর হতে চলল বাঙালি মাস্কের সঙ্গে নিজের স্টাইল স্টেটমেন্ট সেট করে নিয়েছে। দুর্গাপুজোতে কোভিড কাঁটায় সেভাবে বাইরে বেরোতে পারেনি উৎসবপ্রিয় মানুষজন। তবে ২০২১-এ একটু হলেও কোভিড কাঁটার ব্যথাটা কম। তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আজ প্রেমিক প্রেমিকারা পথে বেরোবে। শাড়ি ও পাঞ্জাবির সঙ্গে ম্যাচ করেই মুখে থাকবে ডিজাইনার বর্ণময় মাস্ক। ফোন, রুমাল ছাড়াও ভ্যানিটি পার্সে একটা লিপস্টিক তো থাকতেই হবে। এবার তার সঙ্গে জুড়ে গেল স্যানিটাইজার। যাই করো আর তাই করো কোভিড বিধি ভুললে চলবে না। আরও পড়ুন-Saraswati Puja 2021 Date & Timing: সরস্বতী পুজোর সময়, নির্ঘণ্ট এবং তাৎপর্য, জানুন বিস্তারিতভাবে
সরস্বতী পুজো মানে বাবা-মায়ের স্নেহের পরশের মধ্যেই হঠাৎ করে বড় হয়ে যাওয়া। দায়িত্ব নিতে শেখা। স্কুলের পুজোতে যেমন ফল, মিষ্টি, কিনতে যাওয়া। আলপনা দেওয়া, কুমোরটুলিতে ঠাকুরের বরাদ দিতে যাওয়া। পাশাপাশি এলাকার অন্যান্য স্কুলে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়া। যদি মনের গোপন কুঠুরিতে রং ধরে থাকে তো কথাই নেই। আজই সেই দিন একবার অন্তত তাকে বাসন্তী শাড়িতে বা হলুদ পাঞ্জাবিতে দেখার। বছর বাড়ে শুধু সরস্বতীপুজোই থেকে যায় চিররঙীন।