সনাতন ধর্মে অমাবস্যা তিথির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। মান্যতা রয়েছে, এই দিনে গঙ্গা স্নান করে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করলে গৃহে সুখ-সমৃদ্ধি আসে এবং এই দিনে তর্পণ ও শ্রাদ্ধের আচার-অনুষ্ঠান করলে পিতৃপুরুষেরা মুক্তি পায় এবং তাদের আশীর্বাদে তাদের সন্তানরা পিতৃদোষমুক্ত হয়। পুরাণে অমাবস্যাকে অশুভ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, কারণ বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে অশুভ এবং নেতিবাচক শক্তি পৃথিবীকে শাসন করে। তাই অমাবস্যার দিন পূর্বপুরুষদের শান্তি ও মোক্ষের জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করা উচিত। এবার জেনে নেওয়া যাক এই বছরে তথা ২০২৪ সালের ফাল্গুন মাসের অমাবস্যা কবে এবং এই দিনের গুরুত্ব।

হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী বিশেষ আধ্যাত্মিক তাৎপর্য রয়েছে ফাল্গুন অমাবস্যার। যারা এই দিনে পুজো করে তারা সুখ, সমৃদ্ধি এবং দেবতাদের আশীর্বাদ লাভ করে। মান্যতা রয়েছে যে এই দিনে পিতৃপুরুষদের জন্য যথাযথ নিয়ম মেনে শ্রাদ্ধ ও আচার অনুষ্ঠান না করলে তারা অসুখী হয়ে ফিরে যান। এছাড়াও মান্যতা রয়েছে পূর্বপুরুষদের অতীতের পাপ এবং ভুল তাদের সন্তানদের জন্মকুণ্ডলীতে পিত্র-দোষের আকারে প্রতিফলিত হয়। যার কারণে জীবনে তাদের অনেক কষ্ট ও খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। ফাল্গুন অমাবস্যার দিনে আচার-অনুষ্ঠানের করে এই ত্রুটিগুলি সংশোধন করা সম্ভব, এর ফলে পূর্বপুরুষের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

২০২৪ সালে ফাল্গুন অমাবস্যা তিথি শুরু হয়েছে ৯ মার্চ, শনিবার, সন্ধ্যা ৬:১৭ মিনিটে এবং শেষ হবে ১০ মার্চ, রবিবার, দুপুর ০২:২৯ মিনিটে। উদয় তিথি অনুসারে, ফাল্গুন মাসের অমাবস্যা পালিত হবে ১০ মার্চ। এদিন সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করতে হয়। তারপর নদীর তীরে, শিব মন্দিরে বা বাড়িতে মৃত পূর্বপুরুষ বা আত্মীয়দের জন্য তর্পণ ও শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করতে হবে।