এক বছরের শেষ এবং অন্য বছরের শুরুকে নববর্ষ হিসেবে ধুমধাম করে পালন করা হয় গোটা বিশ্বে। ঐতিহ্য এবং উদযাপনগুলি প্রতিটি দেশে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে, তবে সারমর্ম একই থাকে। প্রিয়জনের সঙ্গে একত্রিত হয়ে উদযাপন করা এবং ভবিষ্যতকে স্বাগত জানানো হয় এই দিনে। এই নববর্ষের আগের ঐতিহ্যগুলি নতুন বছরের জন্য সৌভাগ্য নিয়ে আসে বলে বিশ্বাস করা হয়। নববর্ষের আগের ঐতিহ্যগুলি সংস্কৃতির মতোই বৈচিত্র্যময়, যা অনন্য বিশ্বাস, রীতিনীতি এবং আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে।
প্রতীকী খাবার থেকে শুরু করে, বিশেষ পোশাক এবং বিশেষ নিয়ম পর্যন্ত ঐতিহ্যগুলি প্রায়শই সৌভাগ্য, স্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। মধ্যরাতে স্পেনের বাসিন্দারা ১২টি আঙ্গুর খায়, ঘড়ির ১২ টি ঘর এবং ১২ মাসের জন্য একটি করা হয়। মান্যতা রয়েছে, এই ঐতিহ্য আগামী ১২ মাসের জন্য সৌভাগ্য নিয়ে আসে। ডেনমার্কের বাসিন্দারা খারাপ আত্মাদের তাড়াতে এবং আসন্ন বছরের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনতে বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের দরজায় প্লেট ভাঙে। এছাড়া ইকুয়েডরীয়রা অতীতকে ছেড়ে নতুনকে শুরু করার প্রতীক হিসেবে "আনো ভিজোস" নামে পরিচিত জীবন-আকারের মূর্তি পোড়ায়। এই মূর্তিগুলি প্রায়শই প্রাচীন বা জনপ্রিয় সংস্কৃতির চরিত্রগুলিকে উপস্থাপন করে।
ব্রাজিলিয়ান শান্তির প্রতীক হিসেবে নববর্ষের আগের দিন সাদা পোশাক পরে। কোপাকাবানা সৈকতে নতুন বছরে আশীর্বাদের জন্য সমুদ্র দেবী, ইয়েমাঞ্জাকে ফুল এবং মোমবাতি দেওয়া হয়। এছাড়া স্কটিশ হগমানে ঐতিহ্যে, মধ্যরাতের পরে ঘরে প্রবেশকারী প্রথম ব্যক্তি ("প্রথম ফুটার") ঘরের জন্য সৌভাগ্য নিশ্চিত করতে কয়লা, শর্টব্রেড বা হুইস্কির মতো উপহার নিয়ে আসে। নববর্ষের প্রাক্কালে বিশ্বব্যাপী ঐক্য এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তুলে ধরা হয়। বিশ্বজুড়ে পালিত ঐতিহ্য সুখ, সমৃদ্ধি এবং নতুন সূচনার জন্য মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে তুলে ধরে। আঙ্গুর খাওয়া হোক বা সাদা পোশাক পরা, প্লেট ভাঙ্গা হোক বা রেজোলিউশন নেওয়া, প্রতিটি রীতি এই উৎসবকে আরও সুন্দর করে তোলে।