চৈত্র নবরাত্রির তৃতীয় দিনে পুজো করা হয় দেবী দুর্গার তৃতীয় রূপ মা চন্দ্রঘণ্টার। ভগবত পুরাণ অনুসারে, মা দুর্গার তৃতীয় রূপ মা চন্দ্রঘণ্টা হলেন অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় এবং উপকারী। তাঁর কপালে রয়েছে একটি ঘণ্টার আকৃতির অর্ধচন্দ্র, তাই দেবী দুর্গার তৃতীয় রূপের নাম মা চন্দ্রঘণ্টা। মা দুর্গার এই দশটি রূপ মহাবিশ্বের ভারসাম্য বজায় রাখে। নিয়ম মেনে মা চন্দ্রঘণ্টার পুজো করলে সাংসারিক ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে পরমানন্দ লাভ হয়।
মা দুর্গার প্রথম রূপ হল শৈলপুত্রী, দ্বিতীয় রূপ ব্রহ্মচারিণী এবং তৃতীয় রূপ চন্দ্রঘণ্টা। দেবী পার্বতীর জীবনের তৃতীয় বৃহত্তম ঘটনা হিসেবে তিনি পান তার প্রিয় বাহন বাঘ, তাই বাঘে চড়ে ভক্তদের রক্ষা করেন মা চন্দ্রঘণ্টা। মা চন্দ্রঘণ্টার শরীর সোনার মতো উজ্জ্বল এবং তাঁর দশটি হাতে যথাক্রমে রয়েছে- পদ্ম, তীর, ধনুক, তলোয়ার, কমন্ডল, খর্গ, ত্রিশূল ও গদা। মা চন্দ্রঘণ্টাকে সবসময় দেখতে পাওয়া যায় যুদ্ধের ভঙ্গিতে, তার গলায় থাকে সাদা ফুলের মালা এবং মাথায় হীরা-পান্না দিয়ে সাজানো মুকুট।
চৈত্র নবরাত্রির তৃতীয় দিনে সূর্যোদয়ের সময় ঘুম থেকে উঠে স্নান করে মা চন্দ্রঘণ্টাকে স্মরণ করে ধ্যান করতে হয়। দেবী চন্দ্রঘণ্টার ধ্যান করার সময় ধূপ ও পাঁচটি প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজো করতে হয়। মা চন্দ্রঘণ্টাকে নিবেদন করতে হয় সাদা পদ্ম বা হলুদ গোলাপ ফুল। তার সঙ্গে নিবেদন করতে হয় সিঁদুর, সুপারি, হলুদ চন্দন, রোলি, অক্ষত ইত্যাদি। মা চন্দ্রঘণ্টার প্রিয় খাবার হল জাফরান খির ওদুধের মিষ্টি। এরপর গোটা বাড়িতে শঙ্খ ও ঘণ্টা বাজিয়ে মা দুর্গার আরতি করতে হয়, এর ফলে বাড়িতে উপস্থিত নেতিবাচক শক্তি নষ্ট হয়ে যায়।