![](https://bnst1.latestly.com/uploads/images/2024/11/marriage.jpg?width=380&height=214)
প্রত্যেক ধর্মেই বিয়ের জন্য বিভিন্ন ঐতিহ্য ও নিয়ম রয়েছে। হিন্দু ধর্মে বিবাহ হল ১৬টি নিয়মের একটি অংশ, যেখানে বর এবং বউ ৭ জন্ম এক সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি নেয়। ইসলামে বিয়ের নিয়ম আলাদা। ইসলামী বিয়ে শরীয়তের নির্দেশনা অনুযায়ী হয়। শরীয়ত মতে নিকাহ হল চুক্তি, এর জন্য ছেলে মেয়ে উভয়ের অনুমতি প্রয়োজন। এতে মেয়ের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তার জন্য যৌতুকের বিধান রয়েছে। যৌতুকের পরিমাণ সাধারণত ছেলের আয় অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।
শরীয়ত এবং মুসলিম ধর্মের নিজস্ব আইনে ৪টি বিয়ের অনুমতি রয়েছে। ইসলামে বহুবিবাহের অনুমতির নিয়ম সপ্তম শতাব্দীতে কুরানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। সেই সময়ে আরবে গোত্রীয় যুদ্ধে অল্প বয়সী বহু পুরুষ নিহত হয়, যার কারণে তাদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের যত্ন নেওয়ার অনুমতির জন্য বহুবিবাহ প্রথা শুরু হয়, যা এখন আইন অনুমতিতে পরিণত হয়েছে। একজন মুসলিম পুরুষ আইনত এক সময়ে সর্বোচ্চ ৪টি স্ত্রী রাখতে পারে, তবে তার অবশ্যই স্ত্রীদের সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
ইসলাম ধর্ম অনুসারে, মুসলিম সম্প্রদায়ে বিবাহকে সমঝোতা এবং জাতি অগ্রগতির একটি উপায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মুসলিম সম্প্রদায়কে কঠোর শর্তে চারটি বিবাহ করার অনুমতি দিয়েছে কুরান। যেখানে একজন ব্যক্তি তার স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় চারবার বিয়ে করতে পারে, তবে এর জন্য কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। প্রথম শর্ত হল স্ত্রীর সঙ্গে সন্তান না থাকলে বা স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হলে একজন পুরুষ একাধিক নারীকে বিয়ে করতে পারবে। দ্বিতীয় শর্ত অনুযায়ী, প্রথম বিয়ের পরের বিয়ে শুধুমাত্র এতিম ও বিধবা মহিলাদের সঙ্গে করা যাবে।
তৃতীয় শর্ত অনুযায়ী, নারীদের রক্ষা করতে এবং পতিতাবৃত্তির মতো মন্দ কাজ রোধ করতে একজন পুরুষের একাধিকবার বিয়ে করার অনুমতি রয়েছে। চতুর্থ শর্ত অনুযায়ী, একজন পুরুষ একাধিকবার তখনই বিয়ে করতে পারবে যখন সে সব স্ত্রীকে সমান মর্যাদা দেবে এবং সবার সঙ্গে সমান আচরণ করার ক্ষমতা রাখে। ভারতে একজন মুসলিম পুরুষ চারবার বিয়ে করতে পারলেও কোনও নারীর একাধিক বিয়ে করার অধিকার নেই। প্রথম স্বামীকে তালাক দেওয়ার পরই কোনও নারী আবার বিয়ে করতে পারবে।