Mega kitchen during the Maha Kumbh (Photo Credit: X@ANI)

গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীর ত্রিবেণী মহাসঙ্গমে এখন উৎসবের আমেজ। ১২ টি পূর্ণকুম্ভ পেরিয়ে ১৪৪ বছর পর এসেছে মহাকুম্ভ। আর সেই পুণ্য তিথিতে পুণ্যস্নানে ভিড় জমিয়েছেন বহু পুণ্যার্থী। চলতি মাসের ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ। চলবে আগামী মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের অনুমান, এক মাস ব্যাপী এই উৎসবে কমপক্ষে ভিড় জমাবেন ৪৫ কোটি মানুষ। সেই উপলক্ষ্যে ইসকন প্রতিদিন এক লাখেরও বেশি ভক্তদের সেবা করার জন্য অত্যাধুনিক মেগা রান্নাঘরের উন্মোচন করেছে। মহাকুম্ভ জুড়ে এই রান্নাঘর থেকে  ২০টি নির্দিষ্ট স্থানে খাবার তৈরি ও বিতরণ করা হবে। আদানি গ্রুপ এবং ইসকন য় ভক্তদের খাবার পরিবেশনের জন্য হাত মিলিয়েছে। ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহা কুম্ভ মেলার পুরো সময়ের জন্য মহাপ্রসাদ সেবা দেওয়া হচ্ছে। ইসকনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহাকুম্ভের মেলায় আগত পুণ্যার্থীদের জন্য এই মহাপ্রসাদের ব্যবস্থা করেছেন গৌতম আদানি।প্রতিদিন মহাকুম্ভ মেলা ৪০টি জায়গায় মহাপ্রসাদ বিতরণ হবে। অনুমান, প্রতিদিন মোট ৫০ লক্ষ পুণ্যার্থীদের খাওয়ানো হবে এই বিতরণ কেন্দ্রগুলি থেকে।

 

ইসকন কুম্ভ মেগা রান্নাঘরের প্রধান শেফ অজিত মুকুন্দ দাস বলেছেন, "প্রায় ২০০  জন স্বেচ্ছাসেবক এখানে পরিবেশন করছেন। প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে তিনি জানিয়েছেন-তিনি বলেন রান্নাঘরের কাজ শুরু হয় ভোর রাত ২টায়, ডাল একদিন আগে ভিজিয়ে রাখা হয়, এবং মশলা কেটে আগে থেকে প্রস্তুত রাখা হয়।  এরপর ভোর ৫টায় প্রায় ৫০০০০ মানুষের জন্য রান্না শুরু হয়, এর পরে সকাল ৯ টা পর্যন্ত তৈরি করা হয় প্রয়োজন অনুযায়ী...'

তিনি আরও জানান- ' মকর সংক্রান্তির মতো 'স্নান' দিনে আমরা ১  লাখেরও বেশি লোককে সেবা দিয়েছি...যেগুলোতে রান্না হচ্ছে সেগুলো বিশালআকারের, তাই আমরা সেগুলো তুলতে ও পরিবহনের জন্য ট্র্যাক এবং ক্রেন স্থাপন করেছি... এছাড়া রোটি মেশিন ৭০০০ টি রুটি প্রস্তুত করে এক ঘন্টার মধ্যে , অনেক মহিলা সবজি কাটা ও খোসা ছাড়ানোর জন্য স্লটে কাজ করছেন... রান্নাঘরের উনুনগুলোর নাম ভগবানের নামে রাখা হয়েছে কারণ আমাদের উদ্দেশ্য শুধু খাবার জোগাড় করা নয়, 'প্রসাদ' এর যোগান দেওয়া। ... আমরা যা কিছু করছি সব ঈশ্বরের শক্তিতে হচ্ছে..."