১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা। মহাপ্রয়াগকে দেবস্থান বলে মনে করা হয়। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস, এখানেই কয়েক ফোঁটা অমৃত পড়েছিল সমুদ্র মন্থনের পর। তাই এই স্থান খুবই পবিত্র। এখানেই গঙ্গা, যমুনা এবং রহস্যময়ী সরস্বতী নদীর মিলনক্ষেত্র। মহাকুম্ভের শুরুর আগে থেকেই প্রশাসন দাবি করছিল প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ কোটি ভক্তের সমাগম হবে পুণ্য স্নানে। প্রশাসন যে ভুল বলেনি তা প্রমাণ হয়েছে প্রথম কয়েকদিনেই। রাজ্য সরকারের তরফে অফিসিয়াল বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে মহা কুম্ভ মেলা উপলক্ষে ১১ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সাত কোটিরও বেশি তীর্থযাত্রী গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক সরস্বতী নদীর সঙ্গমে সঙ্গমে ডুব দিয়েছেন।শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার পবিত্র জলে স্নান করেছেন ৩০ লক্ষেরও বেশি (3 মিলিয়ন) ভক্ত। সরকারী বিবৃতিতে বলা হয়েছে প্রথম ৫দিনে ৭ কোটি (70 মিলিয়ন) তীর্থযাত্রীর প্রাথমিক পরিসংখ্যান দৃঢ়ভাবে এই সরকারের ৪৫ কোটি ভক্তের অনুমানটিকে সত্যি হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত করে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে যে মহা কুম্ভ শুরুর আগে,১১ জানুয়ারী সঙ্গমে প্রায় ৪৫ লক্ষ মানুষ স্নান করেছিলেন এবং ১২ জানুয়ারী রেকর্ড ৬৫ লক্ষ ভক্ত স্নান করেছিলেন। মহা কুম্ভের প্রথম দিনে, রেকর্ড ১.৭০ কোটি তীর্থযাত্রী পবিত্র স্নান করেছিলেন এবং ১৪ জানুয়ারী, প্রায় ৩.৫০ কোটি (35 মিলিয়ন) মানুষ সঙ্গমে স্নান করেছিলেন। শুধুমাত্র মহাকুম্ভের প্রথম দুই দিনে, ৫.২০ কোটি (52 মিলিয়ন) এরও বেশি ভক্ত পবিত্র স্নান করেছিলেন বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার মকর সংক্রান্তিতে প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলায় সেই ভোর ৪টে থেকে রাত পর্যন্ত ৬ কোটি মানুষ অমৃত স্নান করেছেন। একদিনে মহাকুম্ভ মেলায় ৬ কোটি মানুষের অমৃতস্নান রেকর্ড বলে দাবি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
১৪৪ বছর পর যে এমন যোগ। স্বাধীন ভারতে এই প্রথম মহাকুম্ভ! তাই আসমুদ্র হিমাচলের সব রাস্তা যেন প্রয়াগরাজে মিশে গিয়েছে। সেই সঙ্গে বিদেশ থেকেও বহু পুণ্যার্থী, পর্যটকরা এখানে আসছেন। জাপান, জার্মানি, রাশিয়া, ব্রাজিল, স্পেন, আমেরিকা থেকে পর্যটকদের দেখা মিলছে প্রয়াগরাজে। সব মিলিয়ে মহাকুম্ভে মহামিলন ক্ষেত্র।