জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2020) বা কৃষ্ণজন্মাষ্টমী বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। এর অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি। এ বছর তিথি গন্ডগোলের কারণে জন্মাষ্টমীর তারিখ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তাই ১১ তারিখ ও ১২ তারিখ জন্মাষ্টমী পালিত হবে। যার যার মত অনুযায়ী দু'টি দিনে জন্মাষ্টমী পালন হবে।
পঞ্জিকা মতে, ১১ অগস্ট মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৬ মিনিট থেকে শুরু করে ১২ অগস্ট সকাল ১১টা ১৬ মিনিট পর্যন্ত জন্মাষ্টমীর তিথি থাকবে। অন্য দিকে ১৩ অগস্ট ভোর ৩টা ২৭ মিনিট থেকে শুরু করে ১৪ অগস্ট সকাল ৫টা ২২ মিনিট পর্যন্ত রোহিণী নক্ষত্র থাকবে। এই জন্মাষ্টমীর জন্য ১২ অগস্টের মুহূর্তকেই শুভ বলা হচ্ছে। জন্মাষ্টমী পুজোর জন্য ৪৩ মিনিটের সময় পাওয়া যাবে। রাত ১২টা ০৫ মিনিট থেকে শুরু করে ১২টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত কৃষ্ণ পূজা করা যেতে পারে। আবার একটি বিশেষ যোগও সৃষ্টি হচ্ছে এ বছর। চলতি বছরে কৃতিকা নক্ষত্র লাগছে। পাশাপাশি চন্দ্রমা মেষ রাশি ও সূর্য কর্কট রাশিতে থাকবে। কৃতিকা নক্ষত্র ও রাশিগুলির এই পরিস্থিতিতে বৃদ্ধির যোগ রয়েছে। আরও পড়ুন, চিনে দ্রুত ছড়াচ্ছে টিক বাইট ভাইরাস; আক্রান্ত কমপক্ষে ৬০ ও মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের, জানুন বিস্তারিত
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশেষত বৈষ্ণবদের কাছে জন্মাষ্টমী একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই উৎসব নানা ভাবে উদযাপন করা হয়। যেমন - ভগবত পুরাণ অনুযায়ী নৃত্য, নাটক যাকে বলা হয় রাসলীলা বা কৃষ্ণ লীলা, মাঝরাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের মুহূর্তে ধর্মীয় গান গাওয়া, উপবাস, দহি হান্ডি তৈরি করা হয়। রাসলীলা তে মূলত শ্রীকৃষ্ণের ছোটবেলার বিভিন্ন ঘটনা দেখানো হয়।
অন্যদিকে দহি হান্ডি প্রথায় অনেক উঁচুতে মাখনের হাড়ি রাখা হয় এবং অনেক ছেলেরা মিলে মানুষের পিরামিড তৈরি করে সেই হাড়ি ভাঙে। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম তিথিতে মধ্যরাতে তার ছোট ছোট মূর্তি কে স্নান করিয়ে কাপড় দিয়ে মোছা হয় এবং দোলনায় সাজানো হয়। তামিলনাড়ুতে এই প্রথা উড়িয়াদি নামে পরিচিত। সারা ভারতবর্ষজুড়ে এই উৎসব ধুমধাম করে পালিত হয়। তবে এবছর লকডাউনের কারণে ছোট করেই অনুষ্ঠিত হবে জন্মাষ্টমী।