প্রত্যেক বছর অসমের গুয়াহাটিতে অম্বুবাচী মেলার (Ambubachi Mela ) আয়োজন করা হয়। বাংলায় যাকে অনেকে অমাবতীও বলেন। অসমের পাশাপাশি বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যে অম্বুবাচী পালন করা হয়। গত ২২ জুন থেকে শুরু হয় অম্বুবাচী। ২৫ জুন শেষ হয় অম্বুবাচী। অম্বুবাচী উপলক্ষ্যে প্রত্যেকবার মেলার আয়োজন করা হয়। যে মেলা উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন। ব্রক্ষ্মপুত্রের তীরে কামাখ্যা মন্দির। সতীর যোনির একটি অংশ ব্রক্ষ্মপুত্রের তীরে পড়ে বলেই এই স্থানে কামাখ্যা মন্দির তৈরি হয় বলে কথিত আছে। এই সময় কামাখ্যা মন্দিরের দরজা যেমন বন্ধ করে দেওয়া হয়, তেমনি দেবীর মূর্তিও ঢেকে দেওয়া হয় লাল কাপড় দিয়ে। প্রসঙ্গত চলতি বছর ৩০ জুন পর্যন্ত অম্বুবাচী মেলা চলবে বলে জানা যাচ্ছে।
জানা যায়, দেবী কামাখ্যার যখন ঋতুস্রাব হয়, তখন পালন করা হয় অম্বুবাচী। ওই সময় কামাখ্যা মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। কৃষিকাজও ওই সময় বন্ধ থাকে। কথিত আছে কামাখ্যা মন্দিরে যখন অম্বুবাচী পালন করা হয়, সেই সময় ব্রক্ষ্মপুত্রের জলে ররং লাল হয়ে যায়। অম্বুবাচী যেমন সাধারণ মানুষ পালন করেন, তেমনি সাধু, সন্তরাও এই দিনটিকে পালন করেন অত্যন্ত ভক্তিভরে। অম্বুবাচী উপলক্ষ্যে বহু তান্ত্রিক কামাখ্যায় হাজির হন। বলা হয়, অম্বুবাচী যে কদিন চলে, সেই সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তান্ত্রিকরা।
অম্বুবাচী শেষ হওয়ায়, ২৬ জুন সকালে কামাখ্যা মন্দিরের দরজা আবার খুলে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের জন্য।