নয়াদিল্লি, ২৮ অক্টোবর: বিমানে উঠতে গেলে প্রয়োজন আরোগ্য সেতু অ্যাপ। কিন্তু কে তৈরি করেছে এই আরোগ্য সেতু অ্যাপ (Aarogya Setu App)? তার স্পষ্ট কোনও উত্তর মিলল না কেন্দ্রের তরফে। যদিও অ্যাপটিতে লেখা রয়েছে বিদ্যুত তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক এবং ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার (NIC)-র যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এই অ্যাপটি। কিন্তু কেন্দ্রের এই দু'টি বিভাগই এই দাবি অস্বীকার করেছে। তথ্য অধিকার আইনে এই প্রশ্নগুলি করে কেন্দ্রীয় সরকারের তিন বিভাগ এবং মন্ত্রক থেকে কোনও উত্তর মেলেনি আবেদনকারী সৌরভ দাসের।
লাইভ ল-র রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় দফতরের সেন্ট্রাল পাবলিক ইনফরমেশনের ৩ অফিসারের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ ধরিয়েছে সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশন। তথ্য অধিকার আইনের আওতায় করা প্রশ্নের দায়সারা এবং প্রতারণামূলক উত্তর দেওয়ার জেরে বরখাস্ত করা হয়েছে তিন অফিসারকে সাময়িকভাবে।
এনডিটিভি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, আরোগ্য সেতু অ্যাপের কোনওরকম তথ্যই সঠিকভাবে নেই কেন্দ্রের নির্দিষ্ট তিন মন্ত্রকের কাছে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রকের থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই তাদের কাছে। এমনকী, ই গভর্ন্যান্স বিভাগের কাছেও বিদ্যুত এবং তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক বা ই গভর্ন্যান্স বিভাগের কাছেও এই বিষয়ে কোনও তথ্য না থাকাটা উদ্বেগজনক। এই মন্তব্যের পরই তিন অফিসারকে শোকজ করা হয়- ডেপুটি ডিরেক্টর এবং সিপিআইও এস কে ত্যাগী, ডেপুটি ডিরেক্টর ইলেক্ট্রনিক্স ডিকে সাগর এবং সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (এইচআর এবং অ্যাডমিন) এবং সিপিআইও, এনইজিডি আরএ ধাওয়ান।
সিআইসি-র তরফে জানানো হয়েছে, "মুখ্য পাবলিক ইনফরমেশন অফিসাররা কেউই আরোগ্য সেতু অ্যাপ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় কোনও তথ্য খোলসা করে জানাতে পারেনি; উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে- কে অ্যাপটি তৈরি করেছে, অ্যাপটির প্রয়োজনীয় ফাইল কোথায় এবং অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরির জন্য কে ইনপুট দিয়েছে। এই ধরণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেখানে লক্ষ লক্ষ ভারতীয়র গোপন তথ্য জড়িয়ে রয়েছে, সেটি এভাবে অবহেলা করার বিষয়টি একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না।"