Ghulam Nabi Azad.(Photo Credit: IANS)

শ্রীনগর, ২৬ অগাস্ট: কংগ্রেস থেকে আজাদ হলেন গুলাম নবি। জল্পনাটা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। আজ, শুক্রবার কংগ্রেস (Congress) পার্টির প্রাথমিক সদস্যপদ সহ সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। দল ছাড়ার পর রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। গুলাম নবি বললেন, ''রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের আসার পর থেকে, বিশেষ করে ২০১৩ সালের জানুয়ারির পর থেকে যখন তিনি সহ সভাপতি হন, তখন থেকেই দলের মেকানিজম ভেঙে দেন। কংগ্রেস যে কাঠামো গড়ে তুলে দেশের মানুষের কাছাকাছি যেত, রাহুল দলের সেই কাঠামোই পুরোপুরি ভেঙে দেন বলে সোনিয়া গান্ধীকে ইস্তফা পত্রে লেখেন আজাদ। ১৯৭৩ সালে জম্মু-কাশ্মীরের ভালেসায় ব্লক কংগ্রেস কমিটি সচিন হয়ে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু। এরপর ১৯৮০ সালে জম্ম-কাশ্মীরে যুব কংগ্রেস সভাপতি হন। মহারাষ্ট্রের ওয়াসিম কেন্দ্র থেকে জিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন। তারপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দল, সরকারে সব বড় বড় পদ পেতে থাকেন।

কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী থেকে মনমোহন সিং মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দফতর-সব কিছুই কংগ্রেসে থেকে পেয়েছেন ৭৩ বছরের গুলাম নবি আজাদ। তবে কংগ্রেস দেশের ক্ষমতা হারাতেই তিনি গান্ধী পরিবারকে নিশানা করেন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা ছিলেন। ২০০৫ সালে জম্মু-কাশ্মীর মুখ্যমন্ত্রীও হন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিংয়ের আমলে। তবে রাহুল গান্ধী দলের দায়িত্বে আসার পর কোণঠাসা হতে থাকেন আজাদ। আরও পড়ুন-

প্রয়াত অভিনেত্রী অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, শোকস্তব্ধ টলিউড

দেখুন টুইট

২০২০ সালে রাজ্যসভার তৎকালীন বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ-সহ কংগ্রেসের ২৩ জন নেতা সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে দলের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। দলের সাংগঠনিক নির্বাচনও যত দ্রুত সম্ভব করার দাবি জানান তাঁরা। সেই থেকেই আজাদ-সহ কংগ্রেসের একাংশের সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি হয়। সাম্প্রতিক রাজ্যসভা নির্বাচনে আজাদকে আর টিকিট দেয়নি দল। তবে তাঁকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করতে চেয়েছিল কংগ্রেস সহ বিরোধী দলের জোট। কিন্তু তিনি সক্রিয় রাজনীতি ছাড়তে চাননি বলে, বিরোধীদের সেই প্রস্তাবে রাজি হননি।