নতুন দিল্লি, ৩১ জানুয়ারি: আজ ৩১ জানুয়ারি, শুরু দুদিনের ব্যাংক ধর্মঘট। বেতন বৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবিতে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন ব্যাংক কর্মচারিরা। এদিকে রাত পোহালেই দ্বিতীয় মোদি সরকারের প্রথম সাধারণ বাজেট। সংসদে দ্বিতীয়বারের জন্য বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এমতাবস্থায় ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাংক ইউনিয়নসের (UFBU) এই ধর্মঘট কেউই ভাল চোখে দেখছেন না। এমনিতেই মন্দায় জেরবার দেশ, ছাটাই চলছে সর্বত্র। কর্মসংস্থানের কোনও সুযোগ নেই। বেসরকারি সংস্থাগুলি একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আজই আবার কেন্দ্রের সরকার আর্থিক সমীক্ষা পেশ করবে। কিনারে দাঁড়িয়ে থাকা দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে যখন বাজেটে চমক দিতে চলেছেন নির্মলা সীতারমণ, ঠিক তখনই ব্যাংক কর্মীদের ৯টি সংগঠন ধর্মঘটে চলে গেল।
উল্লেখ্য, শুক্র ও শনিবার ধর্মঘট। রবিবার ছুটির দিন। যার অর্থ টানা তিনদিন ব্যাংকিং পরিষেবা পুরোপুরি শিকেয়। মাসের শুরুতেই এই ধর্মঘটের জেরে চাকুরিজীবী ও পেনশনভোগীরা যে সমস্যায় পড়বেন তাতে কোনওরকম সন্দেহের অবকাশ নেই। প্রয়োজনে বেতন তুলতে পারবেন না, হাতে টাকাও থাকবে না। এটিএমও ফাঁকা হয়ে যাবে। তবে এখানেই শেষ নয়, দাবি না মিটলে ১১ মার্চ ফের ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্যাংক কর্মীরা। জানানো হয়েছে তখন শনি ও রবিবার মিলিয়ে মোট পাঁচদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। তারপরেও দাবি না মানলে ফের ১ এপ্রিল থেকে লাগাতার ব্যাংক ধর্মঘটে যাবে ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস। আরও পড়ুন-Farrukhabad: ফাররুখাবাদ অপহরণ কাণ্ডের এনকাউন্টারে খতম সুভাষ বথামের স্ত্রীকে পিটিয়ে মারল জনতা
তবে মাসের শেষে এই ধর্মঘট আটকাতে শ্রম দপ্তর ও অর্থমন্ত্রক চেষ্টার ত্রুটি করেনি। তাদের তরফে ব্যাংক কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকও হয়। কোনও অনুরোধ উপরোধেও কাজ হল না। বৈঠক নিস্ফল হয়েছে। মূল বেতন ২০ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে ফোরাম। যদিও, কর্তৃপক্ষ সাড়ে ১২ শতাংশের বেশি বেতন বাড়াতে রাজি নয়। এর বাইরেও সপ্তাহে ৫দিন কাজ, মূল বেতনের সঙ্গে বিশেষ ভাতা জুড়ে দেওয়া এবং নয়া পেনশন স্কিম বাতিলের দাবি রয়েছে। সবমিলিয়ে দুই তরফই নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় সমস্যা তো মেটেইনি বরং আরও জটিল হয়ে উঠেছে। যার ফল ভুগবেন সাধারণ দেশবাসী।